লন্ডনে পলাতক রণজিতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পাথর খেকো রতন আটক
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ১২৫০ বার পড়া হয়েছে
লন্ডনে পলাতক রণজিতের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পাথর খেকো রতন আটক
সিলেট প্রতিনিধিঃ
লন্ডনে পালিয়ে থাকা সাবেক এমপি রণজিত চন্দ্র সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সীমান্তনদী জাদুকাটা বালি মহাল-১ এর সাবেক ইজারাদার রতন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার ডিএমপির শাহআলী থানা পুলিশ সংক্ষুদ্ধ জনতার রোশানল থেকে আটক করে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ননাই গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে।
ডিএমপি মিরপুর জোনের শাহআলী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আজম তাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহআলী এলাকার স্থানীয় সংক্ষুদ্ধ জনতা রতনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি আরো বলেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৫ আগষ্ট পরবর্তী একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রতন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম বুধবার রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে, শাহআলী থানা থেকে রতনকে সুনামগঞ্জ নিয়ে আসার পর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের খনিজ বালি পাথর সমৃদ্ধ জাদুকাটা-১ বালি মহাল সোহাগ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারি রতন মিয়া ও উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত সাদেক আলী তালুকদারের ছেলে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ , জেলা পরিষদের অব্যাহতি প্রাপ্ত সদস্য মুজিবুর রহমান তালুকদার জাদুকাটা বালি মহাল-২ যৌথভাবে সিন্ডিক্যাড প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত হন।
জাদুকাটা নদীর দুটি বালি মহাল ইজারার পেছনে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের শাসনামলে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি, মেয়র, ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সিন্ডিক্যাট তৈরি করে সরকারকে ভ্যাট, আয়কর, সরকারি মূল্যসহ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রতন-মুজিবুরের নামে ইজারা বাগিয়ে নেন।
ইজারা নিতে আগাম একাধিক বৈঠকও করেন তারা। ওই সময়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০টি করে শিডিউল ক্রয় করা হয়। কিন্তু জমা দেওয়া হয় দুটি করে। দুটির দরপত্র মূল্যও প্রায় কাছাকাছি। ফলে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান রিয়ানের মুজিবুর ও সোহাগ এন্টারপ্রাইজের রতনকে বালুমহালের সর্বোচ্চ দরদাতা মনোনীত করা হয় কৌশলে।
এরপর রতন-মজিবুর আওয়ামী নেতাদের প্রভাবে প্রশাসন, পুলিশকে বগল দাবায় রেখে জাদুকাটা নদীতে শতাধিক ড্রেজার মেশিনে বালি পাথর লুপাটের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নদীর পরিবেশ প্রতিবেশ ধ্বংস করে , নদীর পাড় কেটে কোয়ারি তৈরি করিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালি পাথর হরিলুট করায় সিন্ডিক্যাট প্রথার মাধ্যমে।
গেল কয়েক বছর জাদুকাটার পাথর মহাল ইজারা বন্ধ থাকার সুবাধে ওই সিন্ডিকেটের আরেক মূল হোতা যুক্তরাজ্যে পলাতক সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকারের ঘনিষ্ঠ সহচর তাহিরপুরের জাদুকাটা নদী তীরবর্তী ছড়ার পাড় গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে আ.লীগ নেতা জাদুকাটা বোল্ডার পাথর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোতালেব ওরফে ‘পাথর মোতালেবকে ম্যানেজ মাষ্টার হিসাবে গোপন সমঝোতায় অবৈধভাবে সড়ক ও নৌপথে পাথর বোল্ডার বিক্রির আড়ালে কয়েক’শ কোটি টাকা রয়্যালিটি আদায় করানো হয়।