লিভারের সমস্যার অন্যতম কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। অনেকে সকালে উঠে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকেন। এই অভ্যাস লিভারের সমস্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অনেকেই আবার দেরি করে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকেও ওঠেন দেরিতে। তাদের ক্ষেত্রেও লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরবৃত্তীয় কাজের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়ে ব্যাঘাত ঘটলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে লিভারের সমস্যা দেখা যায়।
অনেক সময় কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকক্ষণ বিছানা ছাড়তে চান না। বিছানাতেই গড়িয়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। সকালে উঠে প্রস্রাব একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া। সেই প্রস্রাব চেপেও অনেকে শুয়ে থাকেন। এর ফলে কিন্তু লিভারে চাপ পড়ে। ভুলেও এই কাজটি করবেন না।
লিভার সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই পানি। এই পানি শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। শরীরে যখনই পানির অভাব হবে, তখনই লিভারে ও শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
অতিরিক্ত মদ্যপান, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। লো ফ্যাট ফুড থেকেও থাকুন সাবধান। এসব খাবার থেকে ফ্যাট বাদ দেয়া হয় ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ধরে রাখতে যোগ করা হয় প্রচুর চিনি। এতে লিভারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।বেশিকিছু ওষুধ আছে যা লিভারের ক্ষতি করে। সেসব ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। কিছু পেইনকিলার লিভারের ক্ষতি করতে পারেফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে খাবারের তালিকা থেকে ফ্যাট একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না। হেলদি ফ্যাট খান। অলিভ, ওয়ালনাট জাতীয় খাবারে হেলদি ফ্যাট থাকে।
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, শালগম বা ওলকপি, সরিষা শাক এসব সবজির মধ্যে পড়ে। এসবে প্রচুর ফাইবার থাকায় শরীরের জন্য উপকারী। লিভারের বিপাক মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে দূষিত পদার্থ শরীরে বাইরে বের করতে সাহায্য করে। লিভারকে সুস্থ করে এটি কার্যকরী।