আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্রমেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘণীভূত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে। রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশটি।
দেশটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি এক অধিবেশনে বলেছেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না করলে দেশ বড় বিপদের মুখে পড়বে। সামগ্রিকভাবে দেশ এখন টাইটানিক জাহাজের মতো অবস্থায় আছে। আমাদের এখনই জেগে ওঠার সময় কারণ শেষ পর্যায়ে যদি জাহাজ ডুবে যায় তাহলে কেউ বাঁচতে পারবে না।’
এদিকে চলমান এই তীব্র সংকটের মধ্যেই পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। তিনি জানিয়েছেন, নতুন সরকার গঠন করা না হলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন তিনি।
গত বছরের ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব পদত্যাগ করেন এবং তিনি বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। লেবাননের জনগণ নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
হাসান দিয়াব হুমকি দিয়ে বলেছেন, নতুন সরকার গঠন করা না হলে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেবেন। এই হুমকির মধ্যদিয়ে তিনি মূলত রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া লেবাননের আর্থিক সংকট ছয় মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। চাকরি ও সঞ্চয় কমে গিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মারাত্মক হারে হ্রাস পেয়েছে।
গত একমাসে লেবাননের পাউন্ডের মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় শহরজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্চের শুরুর দিকে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেয়ে ১০০০০ এ নেমেছে। এক সপ্তাহেরও কম পরে বিস্ময়করভাবে এটি ডলারের বিপরীতে ১৫ হাজারে নেমে গিয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেবাননের নেতাদের সরকার গঠনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন। দেশকে পতনের হাত থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফ্রান্স লেবাননের নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছে।