লোহাগড়ায় ভ্যানচালককে হত্যা, আটক-৪
নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় এক কিশোর ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপ থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তামিম খান সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের হাড়িগাড়া গ্রামের রুবেল খানের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে ভ্যানচালক কিশোর তামিম খান নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনেরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই জানায়, সে দেখেছে তামিম অভিযুক্ত আমিনুলকে ভ্যানে করে নিয়ে গেছে। পরে নিহতের স্বজনেরা অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
পরে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল স্বীকার করে যে, খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তামিমকে হত্যার পর লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপে ফেলে দেয় এবং চোরাইকৃত ভ্যানটি বিক্রি করে।
পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আসামি আমিনুলকে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তামিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লোহাগড়ার মশাঘুনি এলাকায় ফেলে দিয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক ও চোরাই ভ্যান কেনাবেচার অভিযোগে নাওরা গ্রামের নেহাল উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার (৪২), তার ছেলে ইসমাইল (১৭), ঈমান শেখের ছেলে সলেমান শেখকে (৩১) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।