ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে বাথরুমে ভাবীকে ধর্ষণ করলো দেবর

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৬৬ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার মগর গ্রামে বাথরুমে দেবরের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ

ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযোগে জানান, পুলিশে না দিয়ে সালিশি সিদ্ধান্তে টানা ১০ ঘণ্টা বাথরুমে অবরুদ্ধ রাখা হয় ধর্ষকসহ গৃহবধূকে। দফায় দফায় সালিশি মীমাংসার নামে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করে সালাশের বিচারকররা।

তিনি আরো জানান, গত ২০২০ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমে আলো দেখে স্ত্রীকে খুঁজতে সেখানে যান। তিনি বাথরুমের দেখেন স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে তার বংশীয় চাচাতো ভাই জিহাদ। তখন দরজার বাইরের সিটকিনি লাগিয়ে চিৎকার করলে বাড়ির মানুষ ও এলাকাবাসী ছুটে আসে। ডেকে আনা হয় মেয়ের পরিবারকে।

আরও পড়ুন

ধর্ষক ভিপি নুর নয়, ধর্ষণ করেন মামুন: ঢাবি ছাত্রী

পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনে টানা ১০ ঘণ্টা ধর্ষকসহ গৃহবধূকে বাথরুমেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। পরে ধর্ষককে আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত দিয়ে গৃহবধূকে জিহাদের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর জন্য মেয়ের পরিবারের হাতে তুলে দেয় মগর গ্রামের সালিশ বিচারকরা। মেয়ের পরিবার ও জিহাদের পরিবারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া হয় স্বাক্ষর।

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বলেন, রাতে প্রয়োজন হওয়ায় বাথরুমে গিয়েছি। দেবর জিহাদ বাথরুমে ঢুকে বলে চিৎকার করলে ফাঁসিয়ে দেবো, তাই আমি চিৎকার করিনি। পরে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে জিহাদসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়ে আমি নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি বৃহস্পতিবার।

সালিশি বৈঠক

এদিকে, ওই গৃহবধূ নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও নড়িয়া থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

শরীয়তপুরে বাথরুমে ভাবীকে ধর্ষণ করলো দেবর

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার মগর গ্রামে বাথরুমে দেবরের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ

ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযোগে জানান, পুলিশে না দিয়ে সালিশি সিদ্ধান্তে টানা ১০ ঘণ্টা বাথরুমে অবরুদ্ধ রাখা হয় ধর্ষকসহ গৃহবধূকে। দফায় দফায় সালিশি মীমাংসার নামে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করে সালাশের বিচারকররা।

তিনি আরো জানান, গত ২০২০ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমে আলো দেখে স্ত্রীকে খুঁজতে সেখানে যান। তিনি বাথরুমের দেখেন স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে তার বংশীয় চাচাতো ভাই জিহাদ। তখন দরজার বাইরের সিটকিনি লাগিয়ে চিৎকার করলে বাড়ির মানুষ ও এলাকাবাসী ছুটে আসে। ডেকে আনা হয় মেয়ের পরিবারকে।

আরও পড়ুন

ধর্ষক ভিপি নুর নয়, ধর্ষণ করেন মামুন: ঢাবি ছাত্রী

পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনে টানা ১০ ঘণ্টা ধর্ষকসহ গৃহবধূকে বাথরুমেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। পরে ধর্ষককে আর্থিক জরিমানার সিদ্ধান্ত দিয়ে গৃহবধূকে জিহাদের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর জন্য মেয়ের পরিবারের হাতে তুলে দেয় মগর গ্রামের সালিশ বিচারকরা। মেয়ের পরিবার ও জিহাদের পরিবারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া হয় স্বাক্ষর।

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বলেন, রাতে প্রয়োজন হওয়ায় বাথরুমে গিয়েছি। দেবর জিহাদ বাথরুমে ঢুকে বলে চিৎকার করলে ফাঁসিয়ে দেবো, তাই আমি চিৎকার করিনি। পরে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে জিহাদসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়ে আমি নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি বৃহস্পতিবার।

সালিশি বৈঠক

এদিকে, ওই গৃহবধূ নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও নড়িয়া থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।