সখীপুরে ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় বোন-জামাইকে পিটিয়ে জখম
এস,এম,স্বাধীন-শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ব্যবসায়ের কথা বলে নিজের আপন বোনের স্বামীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে সে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বোনজামাইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। সখীপুরের কাচিকাটার ইউনিয়নের জবরদখল গ্রামে গিয়াসউদ্দিন সরদারের ছেলে আল আমিন সরদার(৩৫)।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে মরিচ এবং পাট ব্যবসায়ের কথা বলে বোন-জামাই বিল্লাল বেপারীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলো আল আমিন। ব্যবসার কথা বলে ধার নিলেও মূলত তিনি সে টাকা জুয়া খেলে হেরে যান। বিল্লাল বেপারী টাকা ফেরত দিতে বারবার তাগাদা দিলে আল আমিন কিছুদিনের মধ্যেই দিয়ে দেয়ার কথা বলে।
কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও কোন টাকা আল আমিন ফেরত দেয় নি। পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে বিল্লাল। গত ৩ জানুয়ারী রবিবার দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তার স্ত্রীকে বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। বিল্লালের স্ত্রী রাবেয়া বেগম তার ভাইকে মুঠোফোনে টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয়। কিন্তু আল আমিন এই মূহুর্তে কোন টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। টাকার কথা বোনকে বলায় আল আমিন বিল্লালকে মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে শাসায় এবং বোনকে দিয়ে নারী নির্যাতন এবং যৌতুকের মামলার ভয় দেখায়।
আহত বিল্লাল বেপারীর ভাই মুঠোফোনে জানান,এরই ধারাবাহিকতায় বরিবার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল আমিন সরদার তার দুই ভাই ইব্রাহিম সরদার এবং ইয়াসিন সরদারসহ ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিল্লাল বেপারীর বাসায় হামলা করে বোন আর দুই বছরের ভাগ্নিকে তুলে নিয়ে যায় তারা। এ সময় বাড়ির লোকজন বাঁধা দিতে গেলে মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় বিল্লাল বেপারীসহ তিনজনের। প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত বিল্লাল বেপারীকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও আল আমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ধাওয়া করে।
এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। স্থানীয়রা জানায়, সন্ত্রাসী আল আমিন সরদার নিজের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। জুয়ায় আসক্ত আল আমিন এবং তার দুই ভাই মাদক ব্যবসাসহ আরো নানান অপকর্মে জড়িত।
আহত বিল্লাল বেপারীর ভাই আরো জানান, ধারের টাকা ফেরত চাইলে আল আমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাঁধা দিলে আল আমিন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানেও আল আমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকায় বাধ্য হয়ে একটি ফার্মেসীতে গিয়ে মাথা সেলাই করাই। কিন্তু সেলাই দূর্বল হওয়ায় এখন সেখানে ইনফেকশন হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান কাচিকাটা ইউনিয়নের কাচিকাটা ইউনিয়নের জিংকিং গ্রামে এরকম একটা ঘটনা আমি শুনছি তবে কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি যদি অভিযোগ পায় তাহলে ব্যবস্থা নিব।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
