ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ Logo শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

শার্শায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১০ বছর চাকুরি অভিযোগ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৭ বার পড়া হয়েছে

শার্শায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১০ বছর চাকুরি অভিযোগ

 

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্যামল কুমার রায় নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যের সনদ জাল করে নিজের নাম বসিয়ে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি করে আসছে।

তথ্যানুসদ্ধানে জানা যায়, শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় বিগত ২৩/১০/১৩ ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু সেখানে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ (এনটিআরসিএ) জাল করে অন্যের সনদ নিজের নামে করে জমা দেন। কাব্যতীর্থ বিষয়ে যাহার রোল নং-১১৯১১২৪৪ সনদে পাশের সাল ২০০৮ করে জমা দেন। ২০০৮ সালের রোল নং-১১৯১১২৪৪ এনটিআরসিএ এর ওয়েব সাইটের ইন্টারনেটে যাচাই করে দেখা যায় নামের কোন মিল নেই। সেখানে নাম আছে দিগন চন্দ্র মিত্র।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের সময় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদে চাকুরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন চাকুরি করে আসছে সূচতুর শ্যামল কুমার রায়। পরে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারী করণ হলে আটকে যান শিক্ষক শ্যামল কুমার রায়। শিক্ষা বোর্ডের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের বিপুল অর্থ সেলামী দিয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায়। এলাকাবাসির দাবি ভুয়া সনদে চাকুরি প্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন সনদ জাল নাই। সব সঠিক আছে। আমার চাকুরি সরকারী করণ হয়ে গেছে আপনারা লিখলে আমার কিছুই হবেনা।

শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছি। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (একডেমিক) নুরুজ্জামান বলেন, কোন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবলমাঠামো ও এ.পি.ও. নীতিমালায় চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বাধ্যতা মূলক। এরকম অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

ট্যাগস :

শার্শায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১০ বছর চাকুরি অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শার্শায় ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১০ বছর চাকুরি অভিযোগ

 

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্যামল কুমার রায় নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যের সনদ জাল করে নিজের নাম বসিয়ে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরি করে আসছে।

তথ্যানুসদ্ধানে জানা যায়, শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় বিগত ২৩/১০/১৩ ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। কিন্তু সেখানে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ (এনটিআরসিএ) জাল করে অন্যের সনদ নিজের নামে করে জমা দেন। কাব্যতীর্থ বিষয়ে যাহার রোল নং-১১৯১১২৪৪ সনদে পাশের সাল ২০০৮ করে জমা দেন। ২০০৮ সালের রোল নং-১১৯১১২৪৪ এনটিআরসিএ এর ওয়েব সাইটের ইন্টারনেটে যাচাই করে দেখা যায় নামের কোন মিল নেই। সেখানে নাম আছে দিগন চন্দ্র মিত্র।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, চাকুরিতে যোগদানের সময় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদে চাকুরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন চাকুরি করে আসছে সূচতুর শ্যামল কুমার রায়। পরে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারী করণ হলে আটকে যান শিক্ষক শ্যামল কুমার রায়। শিক্ষা বোর্ডের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের বিপুল অর্থ সেলামী দিয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায়। এলাকাবাসির দাবি ভুয়া সনদে চাকুরি প্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোন সনদ জাল নাই। সব সঠিক আছে। আমার চাকুরি সরকারী করণ হয়ে গেছে আপনারা লিখলে আমার কিছুই হবেনা।

শার্শা সরকারী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছি। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (একডেমিক) নুরুজ্জামান বলেন, কোন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) জনবলমাঠামো ও এ.পি.ও. নীতিমালায় চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ বাধ্যতা মূলক। এরকম অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #