যশোর : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকারের আমদানিকৃত টিকার প্রথম ডোজ শরীরে নিয়ে বিপাকে পড়লো সাধারণ মানুষ।
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে বিড়ম্বনা ও হয়রানির স্বীকার হয়েছেন এমন ২জনের সাথে দেখা হলো যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে। হয়রানির স্বীকার হওয়া ঐ ২ জন নিশ্চিত হতে পারেনি টিকার দি¦তীয় ডোজ আদৌ তারা নিতে পারবে কিনা।
শনিবার সকালে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাফিলতিতে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেল, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের খরুষা গ্রামের আব্দুর রহমান বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে টিকা গ্রহনের শর্ত সাপেক্ষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ডের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন যার রেজিষ্ট্রেশন নং-৪০৪১১৭৫১৫৬২১২৫৯৫০৭।
টিকাদান শুরু হলে আবেদনকারী ৯ ফেব্রæয়ারী শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কোন ঝামেলা ছাড়াই টিকা গ্রহন করেন। পরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য ১০ এপ্রিল শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে অন্য কেন্দ্রের কোন লোককে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া যাবে না বলে কর্তৃপক্ষ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেন। পরে আব্দুর রহমান ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে গেলে আগে অন্য কেন্দ্রের কোন লোককে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া যাবে না বলে কর্তৃপক্ষ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেন।
এসময় ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা পরিদর্শক শিরিনা আক্তার জানান, আমার বাড়ি শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছাকাছি হওয়ায় আমি প্রথম ডোজ টিকা শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে এসে একই রকম হয়রানি ও বিড়ম্বনার স্বীকার।
এবিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরের কোন লোককে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধের টিকা দেয়া যাবে না।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, টিকাদান কার্ডে যে কেন্দ্রের নাম উল্লেক করা আছে তা অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে মুছে ফেলে প্রথম ডোজ টিকা নেয়া কেন্দ্রের নাম লিখতে হবে। তা হলে দ্বিতীয় ডোজ নিতে আর সমস্যা হবে না।