শিশুর পেটে শিশু, মামলার ১০মাস পর ধর্ষক আটক “ফলোআপ”
নাটোর প্রতিনিধিঃ
শিশু ধর্ষণের মামলার আসামী ধর্ষক জাহিদুল খাঁকে (৫৫)কে অবশেষে আটক করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে ধর্ষক জাহিদুলকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষক জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের কালু খাঁর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। চতুর্থ শ্রেণির শিশুর পেটে জন্ম নিচ্ছে আরেক শিশু, শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ দেশের অনেক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসনহ টনক নড়ে সরকারের। তার ৩ দিনের মাথায় র্যাবের অভিযানে ওই ধর্ষককে আটক করা হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ঘটনায় প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষককে আটক করতে পারেনি এমন খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরপর র্যাব-৫ মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারির ফলে মাত্র ৩ দিনের তদন্তে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে ধর্ষককে আটক করা হয়। গতকাল শনিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে দুপুরে গুরুদাসপুর হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিশুটির পরিবার জানিয়েছেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হলেও শিশুটির দাদি বাদি হয়ে ১৮ জুন ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১৬৪ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। চলতি সপ্তাহে অন্তসত্তা শিশুটি অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেবে।
মামলার বাদি শিশুটির দাদী বলেন, ধর্ষককে আটকের খবর র্যাব রাতেই তাদের জানিয়েছে। এখন তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোঃ মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, আটককৃত ধর্ষক জাহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৫ এর নাটোর সিপিসি- এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আশিকুর রহমান বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর দেখে তারা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করেন। শুক্রবার রাতে যৌথ অভিযানে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।