শুভাশিস মুখার্জী সারাজীবন মানুষকে হাসিয়ে নিজের চোখে জল
বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলা টেলিভিশন ইন্ড্রাস্ট্রির ১ জন জনপ্রিয় অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জি। কমেডির মাধ্যমে অভিনয়কে নতুনভাবে উপস্থাপন করতেন তিনি। ১৯৮৭ সালে পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’ এই সিনেমার হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা দেন শুভাশিস। মূলত সাপোর্টিং চরিত্র, হাসির রোলে বেশি দেখা যেত তাকে। যদিও এখন অন্য ধারার বেশ কিছু সিনেমা এবং সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে।
দাদাগিরির একটি এপিসোডে এসেছিলেন তিনি। আর এদিন এই মঞ্চে এসে তাঁর প্রথমদিকের অভিনয় জীবনের নানা কথা তুলে ধরেন তিনি। দাদা তাকে তাঁর প্রথম ইনকাম কত হয়েছিল সেটা জানতে চেয়েছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই ইনকামের সঠিক মূল্য তার মনে নেই। কিন্তু এই পরিপ্রেক্ষিতে একপ্রকার কষ্টের কথা শেয়ার করেন অভিনেতা।
তিনি বলেন যে সেইসময় একটা ছবিতে অভিনয়ের জন্য চার জনকে মাত্র ১শ টাকা দেওয়া হয়েছিল। একটা প্রতিবাদের সিন ছিল, যেখানে তাকে ক্রমাগত চিৎকার করে সেটা করতে হয়েছে। কিন্তু এরপরে পারিশ্রমিক হিসাবে চার জনকে একসাথে ১শ টাকা দেন পরিচালক। অর্থাৎ প্রত্যেকে পান মাত্র ২৫ টাকা। যদিও সেই পরিচালকের নাম ঊল্লেখ করেননি শুভাশিস। তবে এই কথার মাধ্যমে সেই সময়ের অবস্থা তিনি তুলে ধরেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে টেনিদা সিনেমাতে তিনি লিড চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া সম্প্রতি তার মহালয়া, এবং প্রফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো সিনেমায় তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি যে কমেডি ছাড়াও অসাধারণ অভিনেতা সেটা বুঝিয়ে দিয়ে ছিলেন।