মেহেদি হাসান নয়ন, ফকিরহাট উপজেলা প্রতিনিধি : ক্যাসিনো ও দূর্নীতি বিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠনটি সাধারণ মানুষের কাছে দিন দিন গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে। সংগঠনটি পূর্ব ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং সংগঠনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২৩ নভেম্বর ৭ম জাতীয় কংরেস এর মাধ্যমে শহিদ শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান শেখ ফজলে সামশ্ পরশ কে চেয়ারম্যান ও মাঈনুল হোসেন খান হিমেল কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
তাদের নের্তৃত্বে যুবলীগ আবার নতুন ধারায় এগিয়ে যাবে।তৃণমূল কর্মীদের এটাই একমাত্র চাওয়া। তবে ক্যাসিনো ও দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের কারণে দলের নতুন নেতৃত্ব ও পদ প্রত্যাশীরা নিজেদের নাম ঘোষনা করতে ভয় পাচ্ছে। ইতোমধ্যে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন আইনের আশ্রয়ের পাশাপাশি অনেকেই দল থেকে বহিস্কার হয়েছে। যারা বহিষ্কার কিংবা গ্রেফতার হননি তারাও আছেন আতঙ্কে। কর্মীরাও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব পাচ্ছে না। তবে আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ক্লিন ইমেজের নেতারা এবারের সম্মেলনে কর্মীদের সাপোর্ট পাবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।এবারের সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদে যুবলীগের নিবেদিত কর্মী শেখ হুমায়ুন কবীর এর নাম শোনা যাচ্ছে।
শেখ হুমায়ুন কবীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা রকম হামলা মামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন ,যেমন ১৯৯৪- থেকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানা ছাত্রলীগের একজন সৎ কর্মী হিসাবে দায়িত্বে পালন করছিলেন বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সদস্য- হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।রাজনীতি জীবনে তিনি সকলের সুপরিচিত বিনয়ী ,নম্র ভদ্র সৎ সাহসী একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবাই তাকে ভালবাসে । তিনি এই পর্যন্ত কোন অন্যায় , অবিচার , বা কোন ধরনের দুর্নীতি সাথে জড়িত হন নাই।শেখ হুমায়ুন কবীর আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান তার পিতা শেখ আজগর আলী ফকিরহাট থানা আওয়ামীলীগের সাবেক একজন কর্মী একজন সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন ।
তাঁরই সুযোগ্য সন্তান গন মানুষের বন্ধু নম্র ভদ্র, সদা হাস্যজ্জল , বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্যাতিত নেতা শেখ হুমায়ুন কবীর ।রাজনীতি করতে এসে তিনি নানা রকম হামলা মামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। শেখ হুমায়ুন কবীর বঙ্গবন্ধু ও দেশকে ভালবেসে দেশের জন্য কাজ করার প্রত্যয়ে রাজনীতি করেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে চান। শেখ হুমায়ুন কবীর বলেন, রাজনীতি হওয়া উচিত সকল স্বার্থের উর্দ্ধে। জননেত্রী শেখ হাসিনার মত শুধু দেশকে ভালবেসে রাজনীতি করা উচিত। আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই আমি দেশকে ভালবাসি, তাই রাজনীতি করি। যদি নেত্রী চান তাহলেই আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হবো।
আমি সাধারন সম্পাদক হলে, দলের মধ্যে যে কলঙ্ক তৈরি হয়েছে তা মোচনের চেষ্টা করব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে নিয়েই আমি সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নিব। তিনি আরও বলেণ, আমার ছোট রাজনৈতিক জীবনে যা জেনেছি এবং দেখেছি, আসলে স্বচ্ছ রাজনীতি ছাড়া মানুষের জন্য তো ভাল কিছু করা সম্ভবইনা, নিজের জন্যও ভাল কিছু করা সম্ভবনা।তাই আমি আসলে আওয়ামী যুবলীগের মেধাবি,দক্ষ,পরিচ্ছন্ন ও জবাবদীহিতা মূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসি।