জেলা প্রতিনিধি:
আসন্ন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে শেষ মূহুর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। করছেন গণসংযোগ, পথসভা সহ মোটর শোভাযাত্রা।
এদিকে, এরই মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা রির্টানিং অফিসার। যার সার্বিক সহযোগিতা করছেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, মেয়র পদে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষনণ করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারী প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, পৌর নির্বাচনে ২৭ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার চারশ এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৮ জন।
তৃতীয় ধাপের এই পৌরসভা নির্বাচনে গত ৩১ ডিসেম্বর ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সহ ৪ মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন। যার যাচাই-বাছাই হয় ৩ জানুয়ারি এবং ১০ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাজান আলী। অন্যদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এস.কে.এম সালাহ্উদ্দীন বুলবুল সিডল ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আ.লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আ.লীগের যুগ্ন-আহ্বয়ক শহীদুজ্জামান সেলিম মোবাইল ফোন প্রতিকে এবং বর্তমান মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন। এরই মধ্যে দলীয় ভাবে বিদ্রোহী দুই প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে ১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।