শেষ হয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গার করোনা ভ্যাকসিনের মজুদ
জেলা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় শেষ হয়ে গেছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের মজুদ। শুক্রবার (২১ মে) থেকে বন্ধ রয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে এসেছেন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা শনাক্ত হয়েছেন। তাদের শরীর করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরণ) আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু সে প্রতিবেদন এখনও এসে পৌঁছায়নি চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য বিভাগে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হওয়ায় ও ভারত ফেরত করোনায় আক্রান্তদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এ জেলার মানুষ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে ৯৭ হাজার ডোজ টিকা পাওয়া গিয়েছিলো। এরই মধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ। প্রথম ধাপের ৫৮ হাজার ডোজের মধ্যে ৫৭ হাজার ৮৭১ জনের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রমের শুরু করতে ৩ হাজার ৯শ’ ভাওয়েল ভ্যাকসিন পাওয়া যায় চুয়াডাঙ্গা জেলায়। যা ৩৯ হাজার মানুষের শরীরে দেয়া যাবে। এই ৩৯ হাজারের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের ৩১ হাজার ১০৪ জন টিকা নিয়েছেন। দু’টি ধাপে মোট ৮৮ হাজার ৯৭৫ জন টিকার আওতায় এসেছেন। টিকা নিতে আগ্রহী ৬৬ হাজার ৫৭৫ জন অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে আবেদন করেও টিকার আওতায় আসেনি ৮ হাজার ৭০৫ জন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে নতুন কোনো ডোজ নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, আগ্রহীদের চাহিদা অনুযায়ী টিকার চাহিদাপত্র পাঠানো রয়েছে। যেহেতু দেশেই টিকার সংকট রয়েছে, সেহেতু জেলায় এখনই টিকা পাওয়া যাবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তবে বাইরে থেকে টিকার চালান দেশে এসে পৌঁছালেই জেলার চাহিদা অনুযায়ী হাতে পাওয়া যাবে।