অনলাইন ডেস্কঃ
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রকার বড় ধস হয়েছে। দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। টানা দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনেও খরা দেখা দিয়েছে। লেনদেন কমতে কমতে ডিএসইতে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই মূল্য সূচকের পতনের আভাস পাওয়া যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে পড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় একদিনেই পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। এ হিসেবে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।
অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। গত বছরের ২৯ জুলাইয়ের পর ডিএসইতে এত কম লেনদেন হয়নি।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র ৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ালটন, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২২টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।