সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ফরিদ হাসান ওদুদ
আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ হাইকোর্টের আদেশের মাধ্যমে দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭শে মে)সকাল ১১ টার সময় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকের উপস্তিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে বসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্যাতিত উপজেলা কমিটির আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য আহম্মদ হোসেন,সাবেক পাংশা উপজেলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন কুন্ডু, পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দিবালোক কুন্ডু জীবন, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাবেক পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইদ্রিস মন্ডল, পাট্টা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ আলী বিশ্বাস, সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর সোবাহান হোসেন সহ স্থানীয় নেতাকর্মী।
এসময় ফরিদ হাসান ওদুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উওরে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। আমি প্রথম মেয়াদে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম সেই সময়( ২০১৮) সালে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলা হয়। সেই অভিযোগ ২য় মেয়াদে আমি চেয়ারম্যান হলে তোলা হয় যার নেপথ্যে সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম নিজে। যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত দেখানো হলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমপির চামচা জালাল বিশ্বাস আমার নেমপ্লেটে ভেঙে ফেলে এবং আমার রুমে আমার চেয়ার ব্যবহার করছে, যা কিনা তিনি পাশে অন্য একটা চেয়ার ব্যবহার করতে পারতো। আমি এর জন্য ভাইস চেয়ারম্যান জালাল বিস্বাস এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পরে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৫ মে) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীশ সরকার বিভাগের উপ সচিব মোহাম্মদ সামসুল হক স্বাক্ষরিত ৪৬.০৪৫.০২৭.০৮.১৫০.২০১৮-৩০৪ নং স্বারকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
চিঠি সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদকে সাময়িক রবখান্তের বিষয় মাননীয় হাইকোর্ট ৩ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন।
এদিকে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে গত ৫ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ সামসুল আলম স্বাক্ষরিত (স্মারক নং-৪৬.০৪৫.০২৭.০৮.১৫০.১৫০.২০১৮-২৭৪) প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে (সাময়িক বরখাস্ত) এ আদেশ জারি করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
১৯ মে রিটের ভার্চুয়াল শুনানি শেষে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সরদার মো. জাহাঙ্গীরের আদালত “উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে পিটিশনারকে ৫ মে তারিখের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন” এবং আদালত এক অন্তবর্তীকালীন আদেশের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন।