DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন সেতু,পাঁচ বছরেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ

DoinikAstha
আগস্ট ১৮, ২০২১ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন সেতু,পাঁচ বছরেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।  সেতুটিতে ওঠা-নামার জন্য ব্যবহার হয় বাঁশের সাঁকো । ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বৃষ্টি ও শঙ্খের জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গেছে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। এরপর থেকে সড়ক ও সেতুর কোনো সংস্কারের ছোঁয়াও লাগেনি।চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়ন অংশে দেড় কিলোমিটার ও জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন অংশের আধা কিলোমিটার সড়কের দুই ইউনিয়নের মাঝামাঝি শাহ মোহছেন আউলিয়া খালের ওপর লাল মোহাম্মদিয়া সড়কে ভাঙা সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ফুট।সড়ক ও সেতুর বেহাল দশায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০০৮ সালের দিকে বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদ সওদাগর দীঘিরপাড় থেকে খুরুস্কুল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কটিতে ইট বিছানো হয় এবং ওই সড়কের সেতুটি পাকা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান,এই দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এটি। ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সেতুটি ভেঙে পড়ে সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। বর্ষায় সেতুটির দুপাশের মাটি ভেঙে খালে বিলীন হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সেতুতে ওঠানামার জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়েছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বেহাল হয়ে পড়েছে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘের লাল মোহাম্মদিয়া সড়কটিও। সড়ক ও সেতুর বেহাল দর্শায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকদেরও চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। অনেক বৃদ্ধরাও সেতুতে ভয়ে পার হতে পারে না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দাদের।

সোয়াইফুর ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বৃষ্টি ও শঙ্খের জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায় সড়কের একমাত্র সেতুটির উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। এ কারণে সেতুটির ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে সে কারণে কয়েকজন মিলে দুপাশে বাঁশের সাঁকো করছি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা। এ সড়ক ও সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন,আনোয়ারায় সড়ক ও সেতু সংস্কারের টেন্ডার হলে এটাই প্রথম হবে।প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী তাসলিমা জাহান বলেন, লাল মোহাম্মদিয়া সড়ক ও সেতু চলাচলের অযোগ্য হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রথমে আছে সেতুটি।নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে সেতুটি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২২
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১২
  • ১২:০২
  • ৩:৪২
  • ৫:২২
  • ৬:৪১
  • ৬:৩৮