ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়াতে টার্গেট সেনাবাহিনী Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক

সততার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি: রাষ্ট্রপতি

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৭৭ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি বলেন, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধব দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক কর্মসূচির প্রচলন করেছিলেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় বনায়ন, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে সংকেত প্রচার, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, দুর্গম এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণসহ বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ এ দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি খাতভিত্তিক প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা প্রদানে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সঠিক ব্যক্তিকে নগদ সহায়তা পৌঁছানো ইত্যাদি কর্মসূচি দুর্যোগকালীন দুর্ভোগ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইকরণের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন জনবান্ধব এসব কর্মসূচি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই সচেষ্ট থাকবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবরূপ দিতে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। – বাসস

সততার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি: রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি বলেন, সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে জনগণের প্রয়োজন মেটানোই সুশাসনের ভিত্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনবান্ধব দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক কর্মসূচির প্রচলন করেছিলেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় বনায়ন, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে সংকেত প্রচার, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, দুর্গম এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণসহ বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ এ দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি খাতভিত্তিক প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা প্রদানে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সঠিক ব্যক্তিকে নগদ সহায়তা পৌঁছানো ইত্যাদি কর্মসূচি দুর্যোগকালীন দুর্ভোগ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইকরণের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন জনবান্ধব এসব কর্মসূচি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই সচেষ্ট থাকবে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

তিনি বলেন, জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবরূপ দিতে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। – বাসস