সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ মাস্টারের বিরুদ্ধে
আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী
একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস আর নানা মুখি প্রলোভনে দিয়ে যুবতী মহিলার সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী বহুমূখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু জালালের বিরুদ্ধে।শুুধ তাই নয় সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষক ওই তরুনীকে নিয়মিত ভাবে ভোগ করে আসছিল।
শিক্ষক আবু জালাল উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের পবন পাচবাড়ীয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুর রহমান অরফে পুকারের ছেলে।অন্যদিকে অভিযোগ কারি যুবতী তরুণী একই এলাকার আব্দুল হালিমের মেয়ে কাকলী । শিক্ষক আবু জালালের স্ত্রী ওই বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে তরুনীর সাথে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে আসছিল। সম্প্রতি ওই তরুনীর সাথে অবৈধ মেলামেশার অভিযোগে স্থানীয়রা আটক করে উত্তম মাধ্যম দিলে, এর পর থেকেই ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই তরুনী বাদী হয়ে কালুখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ কারী ওই তরুণীর বলেন, আমি ৮ম শ্রেণীতে পড়াকালীন বিভিন্ন সয়ম ওই শিক্ষক নানা প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। এর পর আমাকে ঢাকায় প্রায় ৩ বছর রেখে বিভিন্ন সময় আমার সাথে মেলামেশা করেছে,আমাদের বাড়ীতেই বিভিন্ন সময় আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন ওই শিক্ষক। সর্বশেষ গত মাসের (১৫মে) রাতে আমাদের বাড়ির টয়লেটের পিছনে এসে অবস্থান করছিলো, আমি টয়লেটে যেতে গেলে আমাকে নিয়ে টয়লেটে ভেতরে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে আমাকে টয়লেটের ভেতরে নেয়া পাশের বাড়ির লোকেরা দেখে আমাকে ও জালালকে আটক করে স্থানীয়রা। এর আগে জালাল আমাকে নানা ভাবে চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে আসছেন সর্বশেষ আমাকে সরকারী চাকুরী দেওয়ার কথা বলেছে। তিনি বারবার আমাকে বলতেন আমি আমার দুই বোনকে সরকারি চাকরি দিয়েছি তোমাকেও দিয়ে দিবো, অপেক্ষা করো এই বলেই আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতো সে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি সাথে কথা হলে তারা বলেন জালাল মাস্টার বিভিন্ন মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে অশ্লীল কাজ করে আসছে ইতি পূর্বেও এই জালাল মাস্টারকে নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হয়েছে।
ওই তরুনীর মা জানান আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম সেখান থেকে নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছে ওই শিক্ষক নিজের টাকা দিয়ে আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে । আমি আমার মেয়ের জন্য ন্যায় বিচার দাবী করছি। ওই তরুনীর মা আরো বলেন ওই শিক্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের নানা ভাবে হুমকি ধুমকি দিচ্ছে কেন আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পবন পাচবাড়ীয়া গ্রামের অপর এক শিক্ষক বলেন নাম মাত্র একটি স্কুল খুলে এলাকার দরিদ্র মেয়েদের টার্গেট করে নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে তাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে তাদের সাথে শীলতাহানী করে আসছে ওই শিক্ষক অনেকেই লজ্জা ও ভয়ে মুখ না খুললেও পরবর্তীতে ওই স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে।
অভিযুক্তকারী আবু জালাল মাস্টারের ফোনে (নাম্বার ০১৭৮৪৭০১৫৪০) কল দিলে প্রথমে জালাল মাস্টার পরিচয় দিলেও সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
