সহকর্মীকে রড দিয়ে মাথা থেতলে খুন “ফলোআপ”
স্টাফ রিপোর্টারঃ
শেরপুরে গাজা সেবনকে কেন্দ্রকে করে খুন হওয়া নিটন হত্যার মূল আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘটন করে আসামিকে আটক করে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৫ আগস্ট সকালে জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাণীগাঁও গ্রামের নির্মানাধীন সেতু এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ভেতর নিটন মুরুমু (২৫) নামে এক যুবকের মাথা থেতলানো লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নালিতাবাড়ি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারছিল না।
এর পরের দিন নিহতের ভাই বাবুল মুরুমু বাদী হয়ে নালিতাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির পাশেই নিহত যুবকসহ আরও ৬ জন শ্রমিক দিনাজপুর থেকে এসে ওই এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এ কাজ করছিল।
পরবর্তীতে সোমবার (২৮ আগস্ট) ওই স্থানের বাকি ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন মোঃ রাকীব ইসলাম (১৯) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তখন তাকে আটক করে পুলিশ।
এসময় রাকীব জানায়, ওইদিন রাতে নিটন ও রাকীব নির্মানাধীন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে বসে গাজা সেবন করছিল। একপর্যায়ে নিটন অতিরিক্ত গাজা সেবন করে নেশায় আসক্ত হয়ে রাকীবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে রাকীবও উত্তেজিত হয়ে পাশে থাকা লোহার রড দিয়ে নিটনের মাথায় আঘাত করলে তার মগজ বের হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তাকে ফেলে চলে আসেন রাকীব এবং নিটনের মানিব্যাগে থাকা ৩ হাজার ৭০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। মঙ্গলবার রাকীবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফকরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, নালিতাবাড়ি থানার ওসি মোঃ এমদাদ হক।