টানা ৫ মাস বন্ধ থাকার পর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হওয়াকে দলের জাতীয় কাউন্সিলের অংশ হিসেবে দেখছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম কাউন্সিলের একটা অংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশব্যাপী প্রতিটা জেলা, উপজেলা বা থানার যতটা ইউনিট আছে সেগুলো কাউন্সিলে পূর্বেই সম্পন্ন করতে হয়। সেই কাজটা আমাদের শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলব, বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাদের কখন কাউন্সিল করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সেজন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময় কাউন্সিল হবে। বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এর একটা কাউন্সিল ভার্চুয়াল বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক আয়োজন। প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর আছে। তারপরে ডেলিগেট। আপনারা জানেন যে, আমাদের কাউন্সিলে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়। সবকিছু আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
জামায়াত সভাপতির ছেলে এবার থানা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী!
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
গত রোববার থেকে বিএনপি দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৫ মার্চ থেকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের কাজ বন্ধ রাখে দলটি।
করোনা সংক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মানুষের জীবনে যে ঝুঁকি সবকিছু মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের স্বার্থে আমাদেরকে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়। আমি নিয়ম মানছি শুধু আমার স্বার্থে না, আরেকজনের স্বার্থেও। এখন যে স্বাস্থ্যবিধি আছে সেখানে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরেশোরে করার সুযোগ কম। তারপরেও কাজ শুরু করেছি। কাউন্সিল দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ, এটা গঠনতন্ত্রেও নিয়ম আছে। গঠনতন্ত্র তো দলের জন্য, জীবনের জন্যই। সেকারণে আমাদের কাউন্সিলটা যে সময় হওয়ার কথা সেসময়ে হয়নি। ভবিষ্যতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ আসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক আস্থা/রকব