যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে নিয়মানুযায়ী সাকিবের করোনা টেস্ট করেছে । ফলাফল হাতে পেয়েছেন আজ শনিবার (০৭ নভেম্বর)। সাকিবের করোনা টেস্ট রিপোর্টে নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। করোনা নেগেটিভ এর বিষয়টি সাকিব নিজেই নিশ্চিত করেছেন ।
গেল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেশে ফেরেন এই তারকা অলরাউন্ডার। পরদিনই একটি সুপারশপের উদ্বোধন করতে যান তিনি। যা নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। তবে সেদিনই করোনা টেস্ট করান সাকিব। আজ সাকিব জানিয়েছেন, করোনামুক্তই আছেন তিনি।
ব্রাজিল দলে চোট পাওয়া নেইমার, সমালোচনায় পিএসজি
চলতি মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের মাধ্যমে আবারও ক্রিকেটে ফিরছেন মিস্টার ‘সেভেন্টি ফাইভ’। সে লক্ষ্যে ৯ ও ১০ নভেম্বর ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সাকিব জানিয়েছেন, ৯ তারিখ (সোমবার) সকালেই ফিটনেস টেস্ট দিতে মিরপুর শের-এ বাংলা স্টেডিয়ামে যাবেন তিনি।
এর আগে, জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে গেল বছরের ২৯ অক্টোবর সবধরণের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করেন তিনি। মাঝে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে বিকেএসপিতে ২ সপ্তাহ রূদ্ধদ্বার অনুশীলন করেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে সিরিজটি স্থগিত হয়ে গেলে আবারো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি।
গত মার্চে মহামারির শুরুতে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে গিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দেশে ফেরেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই পুরোনো গুরু নাজমুল আবেদীন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেন এক মাস। এই এক মাসে সাকিব যে পরিশ্রম করেছেন, তাতে মুগ্ধ তাঁর দুই কোচ। সাকিব প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবর মাসটা সেখানে কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরেছেন দেশে। সাকিবের আফসোস, বিকেএসপির প্রস্তুতিটা যদি আরও চালিয়ে যেতেন, তাহলে ফিটনেসের দিক দিয়ে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারতেন।
সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি’তে একটি উঁচুমানের ট্রেনিংও সম্পন্ন করেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
এর আগে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পূর্বে সাকিব আল হাসান এমন একটি ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তখন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে খেলতেন তিনি।