কয়েক দিন ধরে সাগর উত্তাল। চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে নগরে। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ, কোচিং বন্ধ থাকলেও অফিসগামী গণপরিবহন যাত্রী আর নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন বৃষ্টিতে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় যা ছিল ১৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার।
তিনি জানান, কর্ণফুলী নদীতে প্রথম ভাটা শুরু হয়েছে ভোর ৩টা ৫৪ মিনিটে, জোয়ার ১০টা ৪০ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা শুরু হবে বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে, জোয়ার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে।
‘রাজনীতি নয়,গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার বানিয়েছে আওয়ামী লীগ’
বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, হালিশহরের নিম্নাঞ্চলে। পাহাড়ধস আতঙ্ক রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে।
ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, শুঁটকির বড় মোকাম আসাদগঞ্জ থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, আশপাশের সরকারি কলোনি, আবাসিক এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে জলাবদ্ধতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খাতুনগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী বলেন, দখল-দূষণে বেহাল কর্ণফুলী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। জোয়ার এলে কিংবা কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হলে নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। অমাবস্যা, পূর্ণিমায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে হলে হাঁটু পানি হয় সড়কের ওপর। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার আগে এ সংকট থেকে মুক্তি নেই।