DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাশনিবার ১২ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাভার গনপরিবহন সংকটে দূর্ভভোগান্তিতে শিল্প কলকারখানার শ্রমিক

DoinikAstha
এপ্রিল ৩, ২০২১ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ

আশুলিয়া শিল্প এলাকা হওয়ায় এমনিতে গণপরিবহণের সংকট। ২য় দফায় শুরু হয়ে গেলো মহামারি করোনার নতুন ঢেউ। যার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী পরিবহণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।গণপরিবহনে মোট সিটের অর্ধেক যাত্রী নেয়া শুরু হয়েছে গত বুধবার থেকে।

ফলে পোশাক শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে৷ সময়মত কারখানায় পৌঁছাতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তবুও ঠিক সময়ে কারখানায় যেতে পারছেন না। নারী শ্রমিকদের অবস্থা আরও বেশি করুন।কাজে যেতে হবে বলে করোনা নিয়ে ভাবার সময় নেই, যে করে হোক বাস পেতে হবে।

সকাল ৮ টার আগে ও বিকাল ৫টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেক মানুষকে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার কারো কারো বাসায় ফিরতে গভীর রাতও হয়ে যায়। অনেকেই বাস না পেয়ে নিরুপায়।হয়ে পিকাপে করে যাতায়াত করছে।

সাভারের বাইপেল, জীরানি, বাড়ইপাড়া সহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে এ পরিস্থিতি দেখা যায় ৷ বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে একজন পোশাক শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছি না। করোনার কারনে এখন দুই সিটে একজন যাত্রী নেয়ায় বাসের সিট অর্ধেক হয়ে গেছে। ফলে বাস যেখান থেকে ছাড়ে সেখান থেকেই যাত্রী পূর্ণ হয়ে যায়।

এখন সব বাসই সিটিং সার্ভিস হয়ে গেছে। গেট বন্ধ করে রাখে যেনো কোন যাত্রী উঠতে না পারে। আর সিট যদি খালিও থাকে তাহলে অল্প দূরত্বের যাত্রী তারা নিতে চায় না। ভাড়াও বেড়েছে শতকরা ৬০ ভাগ। তারও অতিরিক্ত ভারা আদায় করছে।’’ বাড়ইপাড়া থেকে সাভারের এখন জন প্রতি ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। আর করোনা আগে ছিলো ২৫ টাকা।

এই রুটের একটি বাসের হেলপার এরশাদ মিয়া বলে, বুধবার থেকে যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আবার সিট পূর্ণ হওয়ার পর যাত্রীরা জোর করে বাসে উঠতে চাচ্ছেন। আমরা গেট বন্ধ করে রাখলেও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে যাত্রী নামানোর সময় জোর করে উঠতে চায়।

এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে আমাদের তর্কাতর্কি ও ঝামেলা হচ্ছে। ’’ বাড়ইপাড়া, জিরানী, বাইপাইল নবীনগর জামগড়া ঘুড়ে বিভিন্ন রুটের যেসব বাস আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে তার অধিকাংশেরই গেট ছিলো বন্ধ।

আরো পড়ুন :  মিথ্যা প্রমাণিত হলো প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদকের নামে দাখিল করা অভিযোগ

কোন যাত্রী নামতে না চাইলে তারা থামেনি।জিরানী স্ট্যান্ডে কয়েকজন পোশাক শ্রমিক অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। তারা বলেন, ‘‘দুই-একটি বাসে সিট থাকলেও একসাথে কারখানা ছুটির হওয়ার কারনে এক সাথে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করেও গাড়িতে উঠতে পারি নাই তার কারনে পিকাপে উঠে বাসায় যাচ্ছি।

ভাড়া বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকদের আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে। একদিকে ওভারটাইম কমে যাওয়া, চাকরি হারানোর ভয়, যে বেতন পাচ্ছে তা দিয়ে হিসাব মিলছে না।বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনা মহামারীতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির এমন সিদ্ধান্ত অযোগ্য বলে আমি মনে করি। এগুলো হচ্ছে শ্রমজীবীদের উপর বোঝা চাপানো।

অল্প বেতন, করোনাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার গাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি করে মরার উপর খারা ঘা চাপিয়েছে। তাই পোশাক শিল্পসহ সকল শিল্পের শ্রমিকদের রেশন এবং মহার্ঘ ভাতা দাবী জানাচ্ছি। দেখা যায় নারীদের সিট নেই বলে তাদের গাড়ীতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না।

কিন্তু বাস্তবে বাসে উঠে দেখা যায় বাসগুলো নারীদের জন্য অর্ধেক আসন খালি রাখার নিয়ম মানছে না। তারা সিটিং বলে আগেই পুরুষ যাত্রী দিয়ে আসন পূর্ণ করে আসছে। এর ফলে নারীর শ্রমিকদের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আগে থেকেই বাসে নারীদের যে হয়রানী ছিল, বর্তমানে তা দ্বিগুণ বেড়েছে।

অল্প পরিবহনে কারনে কম যাত্রী নিচ্ছে ডাবল ভাড়ায়। এতে পুরুষরা কোন রকম ধাক্কা ধাক্কি করে উঠলেও নারীরা পারছে না। অনেক সমস্যা হচ্ছে। সঠিক সময়ে কর্মস্থলে না যেতে পারার অন্যতম কারণ হলো দেশের মানুষের তুলনায় পরিবহন অল্প।

তাই গণপরিবহনে অর্ধেক মানুষ তোলার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এগুলো হচ্ছে শ্রমজীবীদের উপর বোঝা চাপানো। অল্প বেতনে করোনা কালে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। আবার গাড়ী।ভাড়া বৃদ্ধি করে মরার উপর খারা ঘা চাপিয়েছে। গর্ভবতী ও অসুস্থ নারী শ্রমিকেরা বেশী হয়রানী হচ্ছে।

তারা গাড়ীতে উঠতে পারছে না। তাই আমাদের দাবী নারীদের কথা ভেবে বিআরটিসি পরিবহণ বা বিকল্প ব্যবস্থা করতে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]