ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

সারা দেশে ইন্টারনেটের নতুন দাম নির্ধারণ, ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১২:১৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ১১০০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের একই দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের যে কোনো শহর কিংবা ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে হবে। তবে নির্ধারিত দামের কম নেওয়া গেলেও কোনোভাবেই বেশি নেয়া যাবে না।

জানা গেছে, বিটিআরসি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’। ‘এক দেশ, এক রেটের’আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে। ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকায় পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানান, এই দাম কার্যকর হলে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে। তবে বেশি সুফল পাবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যান্ডউইথ সঞ্চালনের ব্যয় কম বলে ইন্টারনেট সেবার দাম কম রাখতে পারে সেবাদানকারীরা। ব্যান্ডউইথ ইউনিয়ন পর্যন্ত নিতে ব্যয় অনেক বেশি। এ কারণে সেখানে দামও বেশি রাখা হয়।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, ব্যান্ডউইথ সঞ্চালনের ব্যয় কমাতে পারলে গ্রামপর্যায়ে কমমূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। সঞ্চালন ব্যয় বেশি হলে তো কারও পক্ষে কম দামে দেওয়া সম্ভব হবে না।

বিটিআরসির হিসাবে, দেশে গত মার্চ শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ। করোনাকালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এক বছর আগেও সংযোগ সংখ্যা ১৮ লাখ কম ছিল। করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে। পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করা এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা বাড়ছে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দাবি, একটি সংযোগের বিপরীতে অন্তত চারজন ব্যবহারকারী রয়েছেন। ওদিকে মোবাইল অপারেটরদের তারহীন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই তাকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ধরা হয়।
[irp]

সারা দেশে ইন্টারনেটের নতুন দাম নির্ধারণ, ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর

আপডেট সময় : ১২:১৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের একই দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের যে কোনো শহর কিংবা ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে হবে। তবে নির্ধারিত দামের কম নেওয়া গেলেও কোনোভাবেই বেশি নেয়া যাবে না।

জানা গেছে, বিটিআরসি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’। ‘এক দেশ, এক রেটের’আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে। ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকায় পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট সেবাদাতারা জানান, এই দাম কার্যকর হলে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে। তবে বেশি সুফল পাবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যান্ডউইথ সঞ্চালনের ব্যয় কম বলে ইন্টারনেট সেবার দাম কম রাখতে পারে সেবাদানকারীরা। ব্যান্ডউইথ ইউনিয়ন পর্যন্ত নিতে ব্যয় অনেক বেশি। এ কারণে সেখানে দামও বেশি রাখা হয়।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, ব্যান্ডউইথ সঞ্চালনের ব্যয় কমাতে পারলে গ্রামপর্যায়ে কমমূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া সম্ভব। সঞ্চালন ব্যয় বেশি হলে তো কারও পক্ষে কম দামে দেওয়া সম্ভব হবে না।

বিটিআরসির হিসাবে, দেশে গত মার্চ শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ। করোনাকালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এক বছর আগেও সংযোগ সংখ্যা ১৮ লাখ কম ছিল। করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে। পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করা এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা বাড়ছে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দাবি, একটি সংযোগের বিপরীতে অন্তত চারজন ব্যবহারকারী রয়েছেন। ওদিকে মোবাইল অপারেটরদের তারহীন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেটে প্রবেশ করলেই তাকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ধরা হয়।
[irp]