কোনও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) যাতে নির্বাচন নিয়ে নাটক করতে না পারে সেজন্য এই নির্বাচন কমিশনারকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, ‘দেশে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ধর্ষণের কারণে সবাই আতঙ্কিত। আমার শিশু, আমার কন্যা, আমার স্ত্রী, আমার মা, বোন, দাদি, নানি এমনকি ৭০ থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধাদের ওপরও সরকারি ছত্রছায়ায় এই দলের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনকে যারা ধর্ষণ করেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছে তারা ধর্ষণ করতে কাউকে ছাড়বে না- এটাই তো স্বাভাবিক।’
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়। এই সরকারের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা আর হিজড়াদের কাছে সন্তান আশা করা একই কথা।’
তিনি বলেন, ‘এখন বিএনপির সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়, আমরা দু-একটা আসন নেবো নাকি এই দানব সরকারকে সরানোর জন্য লড়াই করব। এই সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। একই সাথে এই নির্বাচন কমিশনারকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় করতে হবে। যাতে করে আর কোনও নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন নিয়ে নাটক না করতে পারে।’
যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা-৫ এ ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা শাহিন প্রমুখ।