ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আদালতের নবনির্মিত ১০ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই ভবন উদ্বোধন করেন।ঢাকা আইনজীবী সমিতির রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসএসসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকার জেলা জজশীপের বিচারকরা, মহানগর জজশীপের বিচারকসহ সকল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী নেতারা ও সাধারণ আইনজীবীরা।
নবনির্মিত বহুতল ভবনে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩২৯ বর্গফুটের বেইজমেন্টে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মালখানা, স্টাফ কক্ষ, ওয়াটার রিজারভার ও ফায়া পাম্প ঘাট উল্লেখযোগ্য। ১৫ হাজার ২৩০ বর্গফুটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও জেনারেটর কক্ষ, অভ্যর্থনা ও গাড়িচালকদের ওয়েটিং রুম।
ভবনের প্রথম তলায় নেজারত সুম, স্ট্রং রুম, স্টোর কিপার, সেরেস্তা রুম ও কম্পিউটার রুম। দ্বিতীয় তলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, এডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, কনফারেন্স রুম ও লাইব্রেরি। তৃতীয় তলায় রয়েছে ডিসি প্রসিকিউশান, কোর্ট ইনসপেক্টর রুম, জি.আর এবং নন জি আর সেকশন, পুলিশ রেকর্ড রুম, মোটর ভেইকল সেকশন ও আইটি সেকশন।
আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না : প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থ তলায় লিগাল এইড অফিস, মোটর ভেইকল সেকশন, নারী ও শিশু জি আর সেকশন, মাদক জি আর সেকশন, কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর রুম রয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম তলার প্রতিফ্লোরে চারটি করে এজলাস, জাজেজ খাস কামরা ও স্টাফ রুম, প্রতিতলায় ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে কমন টয়লেট জোনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের এই ভবনের কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এর দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন ১৩ তলা ভিত্তিপ্রস্তরের ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়।