মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার ১৪তম আসামি টেকনাফ মডেল থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মার ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিনহা হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে রুবেল শর্মাকে আদালতে হস্তান্তর
তিনি জানিয়েছেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নয়, রিমান্ড শেষ হওয়ায় রুবেল শর্মাকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সাত দিনের রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য মতে, সিনহা হত্যা মামলায় ১৪তম আসামি হিসেবে সর্বশেষ সংযুক্ত হন রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে, কনস্টেবল রুবেল শর্মা কারাগারে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার আইও র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৩ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ্ আবেদনের শুনানি শেষে রুবেল শর্মার ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয় এবং রিমান্ড শেষে তাকে বৃহস্পতিবার আবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৩ (টেকনাফ) এ হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলায় ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ আত্মমসমর্প করেন। পরে আরও চার পুলিশ ও পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে মামলায় সংযুক্ত করা হয়। তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।