পুলিশি নির্যাতনে আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবরকে খাসিয়া পল্লি থেকে উদ্ধারের পর বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে একটি ভিডিওতে আকবর জানান, তিনি এক সিনিয়র কর্মকর্তা ‘র আশ্বাসে পালিয়েছিলেন। কোটি টাকার প্রশ্ন : কে সেই সিনিয়র কর্মকর্তা ?
এরপরই প্রশ্ন উঠে সিনিয়র কর্মকর্তা র পরিচয় নিয়ে। যিনি আকবরকে চলে যেতে এবং দুই মাস পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে আসার কথা বলেন।
আরো পড়ুন: মেজর সিনহা হত্যা: পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর
ওই ভিডিও ভাইরালের পর দেশব্যাপী এখন কোটি টাকার প্রশ্ন- কে সেই সিনিয়র অফিসার? আকবরকে অভয় দেয়া সেই অফিসারটি কি ওই থানার কেউ?
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের সেই অফিসার সম্পর্কে আকবরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে সেই নাম। তারা কি জানাবে সেই অফিসারের নাম?
সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা মামলা র প্রধান আসামি হয়েছেন।সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে এসআই আকবর কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১১ অক্টোবর ভোরে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত হন নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন আহমেদ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। সেই থেকে পলাতক ছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া।
আরো পড়ুন>>> এসআই আকবর ভারতে পালিয়েছে : দাবী পিবিআইর
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার পরিবর্তে আলোচিত এ মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলামসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট পিবিআই সিলেটের পাঁচজন পরিদর্শক, একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও দুজন কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় ১৩ অক্টোবর দেশ-বিদেশে আলোচিত এই হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন রাতেই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেনের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার বুঝে নেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে তিনিই মামলাটি তদন্ত করে আসছিলেন।