সিলেটে বিজিবির নামে চাঁদাবাজি, মামলা দায়ের, আটক-১
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের (বিজিবি) নাম ভাঙিয়ে সীমান্তবর্তী ধোপাজান চলতি নদীতে ইজারাবিহীন বালি ও পাথরবাহী নৌযান থেকে চাঁদা আদায়কারী চক্রের বিরুদ্ধে, বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা করা হলে ফরিদ মিয়া নামের ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ফরিদ মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের হাসেম মিয়ার ছেলে।
বিজিবির পক্ষ থেকে বিজিবির নামে সীমান্তে থাকা কথিত সোর্স পরিচয়ধারী চাঁদা আদায়কাররি চক্রের বিরুদ্ধে এই প্রথমবারের মত মামলাটি দায়ের করা হয়রস্ব-প্রণোদিত হয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের (বিজিবি) সিলেট সেক্টরের ২৮-সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ্বর চন্দ্র পণ্ডিত বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আটক ফরিদসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) সিলেট সেক্টর ও সুনামগঞ্জের দয়িত্বশীল বিজিবি অফিসার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের (বিজিবি) সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল বিজিবি কর্মকর্তা আরো জানান, ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে অভিযুক্ত ফরিদসহ তার কয়েকজন সহযোগী বিজিবির নামে অবৈধভাবে বালি-পাথর উত্তোলনকারী চক্র ও নৌযান মালিক সুকানী মাঝিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নজরদারিতে আসার পর বিজিবি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার ডিউটি অফিসার জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা করার পর অভিযুক্ত আসামি ফরিদকে আটক করা হয়েছে।