ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ

সীমান্তে উদ্বেগ, সপ্তাহ ব্যবধানে শনাক্ত-মৃত্যু দ্বিগুণ

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
  • / ১০৩৯ বার পড়া হয়েছে

সীমান্তে উদ্বেগ, সপ্তাহ ব্যবধানে শনাক্ত-মৃত্যু দ্বিগুণ

অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণে সীমান্তের শহরগুলোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোরের অবস্থা উদ্বেগজনক।

এসব জেলাগুলোতে গত এক সপ্তাহের করোনা রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ জুন একদিনে ২৮৮ করোনা রোগী শনাক্ত হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮২ জন রোগী দাঁড়িয়েছে সেখানে। এ সময়ের মধ্যে (২৪ ঘণ্টায়) সেখানে মারা গেছে ১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে খুলনা। সেখানে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪৮০ জন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫১৩ জন।

এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০০-এর কম ছিল।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার থাকা জেলাগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে।

[irp]

হঠাৎ করে রোগী বাড়ায় সীমান্তের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এসব হাসপাতালে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য রোগীদের সেবা বন্ধ রাখার। এমনকি রোগী আরও বাড়লে সীমান্তের জেলা-উপজেলার সকল হাসপাতালগুলোতে করোনা ইউনিট করা হবে।

সংক্রমণ বাড়ার কারণে সীমান্তে আট জেলায় গত মে মাসে লকডাউনের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটি। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আগেই লকডাউন দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু লকডাউন দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সিমান্তের জেলাগুলোতে টেস্ট বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন করা জেলাগুলোকে বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। লকডাউন হওয়া জেলাতে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন বাইরে আসতে দেওয়া যাবে না।

[irp]

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁসহ দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তাই এ অঞ্চলগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়েও টেস্ট করানো হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ভারতীয় ধরণ দেশে আসার পর থেকেই সিমান্তে জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম সিমান্তে পরিদর্শন করেছে। দেয়া হয়েছে সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার পকিল্পনাও করেছে সরকারি এই সংস্থাটি।

[irp]

সীমান্তে উদ্বেগ, সপ্তাহ ব্যবধানে শনাক্ত-মৃত্যু দ্বিগুণ

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

সীমান্তে উদ্বেগ, সপ্তাহ ব্যবধানে শনাক্ত-মৃত্যু দ্বিগুণ

অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণে সীমান্তের শহরগুলোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোরের অবস্থা উদ্বেগজনক।

এসব জেলাগুলোতে গত এক সপ্তাহের করোনা রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ জুন একদিনে ২৮৮ করোনা রোগী শনাক্ত হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮২ জন রোগী দাঁড়িয়েছে সেখানে। এ সময়ের মধ্যে (২৪ ঘণ্টায়) সেখানে মারা গেছে ১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে খুলনা। সেখানে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৪৮০ জন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫১৩ জন।

এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২০০-এর কম ছিল।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার থাকা জেলাগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে।

[irp]

হঠাৎ করে রোগী বাড়ায় সীমান্তের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এসব হাসপাতালে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য রোগীদের সেবা বন্ধ রাখার। এমনকি রোগী আরও বাড়লে সীমান্তের জেলা-উপজেলার সকল হাসপাতালগুলোতে করোনা ইউনিট করা হবে।

সংক্রমণ বাড়ার কারণে সীমান্তে আট জেলায় গত মে মাসে লকডাউনের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটি। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আগেই লকডাউন দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, শুধু লকডাউন দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সিমান্তের জেলাগুলোতে টেস্ট বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন করা জেলাগুলোকে বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। লকডাউন হওয়া জেলাতে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন বাইরে আসতে দেওয়া যাবে না।

[irp]

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁসহ দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তাই এ অঞ্চলগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়েও টেস্ট করানো হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ভারতীয় ধরণ দেশে আসার পর থেকেই সিমান্তে জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম সিমান্তে পরিদর্শন করেছে। দেয়া হয়েছে সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার পকিল্পনাও করেছে সরকারি এই সংস্থাটি।

[irp]