বিশেষ প্রতিবেদক:সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে একটি গুদামে রাখা ১৩ লাখ টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়েয়ে। এর সাথে জড়িত চোরাকারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতর নাম আব্দুল মালেক। সে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পশ্চিম কাঁছির গাতি গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার জব্দকৃত আলামত সহ বিশ্বম্ভরপুর থানায় গ্রেফতার আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরপুর্বে বুধবার বিশ্বম্ভপুরের সীমান্ত লাগায়ো কারেন্টের বাজারে থাকা একটি গুদাম থেকে ভারতীয় জিরার চালান জব্দ করাকালে চোরাকারবারি চক্রের ওই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সেনা ক্যাম্প ও জেলা পুলিশের মিডিয়াসেল জানায়, সুনামগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সীমান্ত লাগোয়া কারেন্টের বাজারে একটি সন্দেহভাজন গুদামে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়।
অভিযানে বিনা শুল্কে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা মজুদকৃত ৭২ বস্তা (২১৬০ কেজি) ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়।
বৃৃহস্পতিবার গোয়েন্দা সংস্থার একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের লাউরগড় সীমান্তের সাহিদাবাদে থাকা বর্ডার হাট কেন্দ্রীক বাংলাদেশি কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী নামধঅরী চোরাকারবারি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে জিরার চালনাটি বিশ্বম্ভপুরের কারেন্টর বাজারে ওই গুদামে মজুদ করে রাখে সময় সুযোগ বুঝে জেলার বাহিরে সরিয়ে নেয়ার জন্য। এ ধরণের চালান এই প্রথম নয়, এর পুর্বে বহু অভৈধ চিনি, পেয়াজ, মসলা, কসমেটিকস সহ সব ধরণের চোরাচালান পণ্য গুদামে রেখে পরে জেলার বাহিরে সড়ক পথে ট্রাক যোগে পাঠানো হত।
সুত্রটি জানায় তাহিরপুরের লাউরগড়ের বর্ডার হাট কেন্দ্রীক ব্যবসায়ী নামী ওই চক্রটি মূলত বর্ডারহাটের নাম ব্যবহার করে আইনশৃস্খলা বাহিনীর নজর এরিয়ে বছর জুড়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ওপার থেকে নিয়ে আসা মাদক, চিনি, পেয়াজ, মসলা, কসমেটিকস, খাদ্যসামগ্রী, থান কাপড়, হুন্ডির টাকা সহ সব ধরণের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে।