মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসির সহযোগীতায় সহায়-সম্বলহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল কুদ্দুছ পান দোকান পেয়ে মহাখুশি হয়েছেন। দোকান পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হাসি ফুটেছে। বুধবার ৩০সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী বাজারস্থ ধানের গলি মাখতুম হোটেলের সামনে পান দোকানটি উদ্বোধন করেন ওসি গিয়াস উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি খোরশেদ আলম, এ এস আই আরমান সহ স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।উপজেলার নদনা ইউনিয়নের মৃত আবুল কালামের পুত্র আব্দুল কুদ্দুছ (৫৫) ২ মেয়ে ও ১ স্ত্রী নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছিলেন। তার বড় মেয়ে স্মৃতি সোনাইমুড়ী হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ছোট মেয়ে ইতি সোনাইমুড়ী আলিয়া মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত।
শারীরিক প্রতিবন্ধি সোনাইমুড়ী বাজারে নৈশ্য প্রহরী চাকুরী করে একদিকে সংসার চালানো, অন্যদিকে মেয়েদের পড়া-লেখার খরচ চালানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ইতিপূর্বে তার শারীরিক সমস্যার কারনে নৈশ্য প্রহরীর চাকুরী চলে গেলে সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে গত শনিবার ২৬সেপ্টেম্বর তার ২ কণ্যাকে নিয়ে সোনাইমুড়ী থানায় গিয়ে ওসির কক্ষে প্রবেশ করে আর্থিক সাহায্য চান। ওসি গিয়াস উদ্দিন তার জীবনের কাহিনী শুনে তাকে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
পরে তাকে সোনাইমুড়ী বাজারে ধানের গলি রোডে মাখতুম হোটেলের সামনে নিজ অর্থায়ানে পানের বাক্সা তৈরি করে, পুঁজি দিয়ে ও নগদ অর্থ দিয়ে দোকানের ব্যবসা চালু করে দেন।ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, তার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা শুনে তিনি সহযোগিতা করেছেন। ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন সমাজের বৃত্তবানদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো উচিত।প্রতিবন্ধি আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ওসির সহযোগিতায় তিনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি মানবিক ওসি গিয়াস উদ্দিনের র্দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন।