সৌদি আরবের টিকিটের দাবিতে কারওয়ানবাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন প্রবাসীরা। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। ফলে সড়কের দু পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে সোমবার ঢাকার মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছিলেন সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা।
মূলত বাংলাদেশ বিমান সৌদি আরবে পুনরায় ফ্লাইট চালানোর অনুমতি না পাওয়ায় সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট চালানোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সোমবার সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে গিয়ে তা না পেয়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে সড়ক অবরোধ করে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মতিঝিলে বিক্ষোভের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসেও বিক্ষোভ করেন তারা।
লোহাগাড়ায় তিন ইউপি নির্বাচন, নৌকা পেলেন যারা
তাদের অভিযোগ, বিমানের কারণে সৌদি আরবের এয়ারলাইন্সগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সৌদি আরবের অনুমতি না মেলায় এখনও সে দেশে ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে পারেনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি। এর জবাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোববার সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সকেও ঢাকা থেকে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি বাতিল করে। এই ঘটনায় সৌদি আরবে সরাসরি যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ছুটিতে আসা বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবাব্বির হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরবে ‘ল্যান্ডিং পারমিশন’ এখনও পাওয়া যায়নি বলে তারা টিকেট ছাড়তে পারছেন না।
তিনি বলেন, “ল্যান্ডিং পারমিশন প্রাপ্তির সাথে সাথেই ফ্লাইট ঘোষণা করা হবে এবং যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে অবহিত করা হবে।”
বিমানের এমডি বলেন, যেসব যাত্রীর কাছে সৌদি আরব যাওয়ার টিকিট রয়েছে কেবল তাদের আসন বরাদ্দ করা হবে। আপাতত নতুন টিকিট বিক্রি করা হবে না।