স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালাতে মাসে খরচ হবে ১৫ হাজার টাকা!
স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর গুঞ্জন অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে, কারণ সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস ও স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংক চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছাবে। ফলে শহর ও গ্রামের ডিজিটাল বিভাজন কমে আসবে। তরুণরা গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
স্টারলিংক স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে, যা গ্রহণ করতে একটি বিশেষ অ্যান্টেনা প্রয়োজন হয়। এই অ্যান্টেনা পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। স্টারলিংকের ইন্টারনেটের গতি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোডের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস হতে পারে। তবে এই সেবা গ্রহণের জন্য ব্যবহারকারীদের বেশ চড়া মূল্য গুনতে হবে।
অ্যান্টেনা, রাউটারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ৩শ ৪৯ থেকে ৫শ ৯৯ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৪৩ হাজার থেকে ৭৪ হাজার টাকা হতে পারে। মাসিক সেবার জন্য ব্যবহারকারীদের ১শ ২০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য এই খরচ আরও বেশি হতে পারে।
২০২৩ সালেই স্টারলিংক বাংলাদেশে সেবা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল এবং পরীক্ষামূলকভাবে সফলভাবেও তা চালু করা হয়েছিল। তবে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার জন্য কিছু শর্ত প্রণয়ন করেছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘আড়িপাতার সুবিধা’ রাখা। কিন্তু স্টারলিংক তাদের গোপনীয়তা নীতির কারণে এই সুবিধা দিতে আগ্রহী নয়।
বর্তমান সরকার এই শর্ত পরিবর্তন করবে কিনা, অথবা স্টারলিংক তাদের নীতিতে কোনো ছাড় দেবে কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে যদি সব শর্ত পূরণ করে স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এটি এক নতুন যুগের সূচনা করবে।