স্বামীকে জেলে দিয়ে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়েছে সালমান এফ রহমান
আস্থা ডেস্কঃ
টেলিভিশনের উপস্থাপক জাকিয়া তাজিন। সুন্দরী, সুশ্রী এই উপস্থাপিকাকে দেখেই দুর্বল হয়ে পড়েন সালমান। নানা কৌশলে তাকে টেনে নেন নিজের কাছে। আর তাজিনও নিজের স্বামীকে দূরে ঠেলে হয়ে ওঠেন সালমানের এফ রহমজনের অন্তরের মানুষ।
ভেতরে-বাইরে বিপরীত রূপে আর্ভিভূত হন শেয়ার বাজারে দরবেশ খ্যাত লুটপাটকারী ব্যবসায়ী-রাজনীতিক সালমান এফ রহমান।
বাইরে সফেদ সালমানের ভেতরটা কালো, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল্লাহ আল মুনির। সালমান এফ রহমান কেড়ে নিয়েছেন শফিউল্লাহ আল মুনিরের সুন্দরী স্ত্রীকে। কেড়ে নিয়েছেন তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যও। হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্য বরাবর কুখ্যাত সালমান এফ রহমারের বেরিয়ে এলো এবার নারী লিপ্সার লোমহর্ষক কাহিনী।
ইনডেক্স গ্রুপের এমডি শফিউল্লাহ আল মুনির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, তার স্ত্রী জাকিয়া তাজিন শেয়ার বাজার নিয়ে টিভিতে অনুষ্ঠান করার সূত্রে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর সালমান এফ রহমান তাকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী তাজিনকে তালাক দিতে হুমকি দেয়।
শফিউল্লাহ মুনির বলেন, এরপর সালমান এফ রহমান আমাকে ডেকে নিয়ে যায় তার অফিসে এবং সেখানে তিনি বলেন যে, তুমি তাজিনকে ডিভোর্স দিবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সেই সঙ্গে ৩শ টাকার একটা স্ট্যাম্প দেখিয়ে বলেন যে, তুমি এখানে সই করবা। স্ট্যাম্পে ৮টি শর্ত লেখা ছিল।
ওই ৮টি শর্তের মধ্যে ছিল- আমি কখনোই আমার কোম্পানিকে নিজের বলে দাবি করতে পারব না। আমার স্ত্রীর নামে সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেল কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারব না। আমার ছেলের কাস্টোডি চাইতে পারব না।
ব্যবসায়ী মুনির তখন সালমান রহমানকে বলেন, ‘এটা কিসের জন্য। আমার অপরাধটা কী? আমরা হাজব্যান্ড-ওয়াইফ, আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা নিজেরাই সমাধান করতে পারব, আমাদের ফ্যামিলিও আছে।
তখন সালমান রহমান বললেন, ‘না, তা হবে না। সোজা পথ হচ্ছে- তুমি এখন যাবা এবং তোমার স্ত্রীকে তুমি ডিভোর্সের নোটিস পাঠাবা এবং তাকে ডিভোর্স দিবা।
তিনি বলেন, তাজিনকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সলমান রহমান আমাকে এই রকম প্রেসার দেওয়ার পরেও আমি যখন রাজি হলাম না, তারপর থেকেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসলো এবং আমার ওপর ওপেনলি অ্যাটাক শুরু হলো।
শফিউল্লাহ মুনির বলেন, এর আগ পর্যন্ত কিন্তু বিষয়টা গোপনই ছিল বা কেউ জানত না। এমনকি আমার অফিসের লোকজনও জানত না যে, কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা আমাদের।