একমাত্র সন্তান ও সুন্দরী স্ত্রীর সুন্দর জীবনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বামী। বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে কষ্টার্জিত টাকা সময় মতো দেশেও পাঠাতেন তিনি। আর সেই টাকায় আনন্দে মজেছিলেন তার সুন্দরী স্ত্রী। আনন্দটি বৈধ হলে কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু স্বামীর খেয়ে পরে স্বামীর সঙ্গেই প্রতারণা করে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন সুন্দরী স্ত্রী। অবশেষে স্থানীয়দের তৎপরতায় বাবা বাড়িতে গভীর ধরা পড়েন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর প্রেমিক।
রোববার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরের এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য অপরাধের মতো এ ঘটনাকে ধামাচাপা ও দায় অস্বীকারের চর্চা শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
স্থানীয়দের দাবি, সুন্দরী স্ত্রী ও এক সন্তানকে দেশে রেখে বাহরাইনে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন উপজেলার চরকাঁকড়া ইউপির একাডেমি বাজার এলাকার এক যুবক। এ যুবকের পাঠানো টাকায় বেশ আমোদে দিন কাটছে সুন্দরী স্ত্রীর। বিলাসিতা, আধুনিকতা, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নিজেকে বদলে ফেলেছেন প্রবাসীর স্ত্রী। নিজের মন মতো চলাফেরা করতে থাকেন তিনি। আর তার রূপে মজে যান মুছাপুরের নুরনবী বাবুলের ছেলে শাহাদাত হোসেন রাহাত। নানাভাবে ওই প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রীকে পরকীয়ার প্রস্তাব দেয় রাহাত। এক পর্যায়ে স্বামী ও নৈতিকতা ভুলে সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাহাতের সঙ্গে পরকীয়া শুরু করেন প্রবাসীর স্ত্রীর।
কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ ৬০ হাজার টাকায় ধর্ষণের বিচার করলেন
রাহাত স্থানীয় প্রভাবশালীর ছেলে। তাই শুধু পরকীয়া নয়, বাবার প্রভাব খাটিয়ে মাদকসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায় সে। বাবার প্রশ্রয়ে বেপরোয়া জীবনযাপন করছে রাহাত।
স্থানীয়রা আরো জানান, গত রোববার মুছাপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্ট পরকীয়ার প্রেমিক রাহাত সেই খবর পেয়ে যায়। বাড়ির কক্ষে প্রবাসীর স্ত্রী একা থাকার খবরও পায় সে। তাই বন্ধু সাকিবকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকার বাবার বাড়িতে গভীর রাতে হাজির হয় প্রেমিক রাহাত। সাকিব বাড়ির বাইরে থেকে পাহারা দিচ্ছিল আর ঘরের ভেতরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় অবস্থান করছিল রাহাত। ফলে সাকিবের দীর্ঘক্ষণ অবস্থান স্থানীয়দের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা মিলে রাহাত ও সাকিবকে আটক করেন। তখন প্রবাসীর স্ত্রী দৌড়ে অন্য কক্ষে চলে যান।
এক পর্যায়ে রাহাত ও সাকিব সবার কাছে ক্ষমা চাইলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। রাহাতের বাবার প্রভাবের কারণে তাদের আটকে রাখার সাহস করেননি বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়দের আরো দাবি, রাহাতের বাবা ছেলের সব দোষকে পাত্তা দেন না।
এদিকে ছেলের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাহাতের বাবা নুরনবী বাবুল বলেন, আমার ছেলে এমন কিছুই করেনি। এটা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র মাত্র।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।