হাজার বছরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, আদালতে হাবিবুল আউয়াল
আস্থা ডেস্কঃ
বাংলাদেশের কোন নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি,
যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন না হয় তবে হাজার বছরেও বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, আমার জীবনে দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই। আমি স্বীকার করি নির্বাচন ডামি, প্রহসনের হয়েছে। ডামি নির্বাচন কি আমার কারণে হয়েছে? বাংলাদেশের কোন নির্বাচন বিতর্ক ছাড়া হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।
১২টা ৫০ মিনিটে আউয়ালকে আদালতে হাজির করা হয়। ১টা ২০ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট পরিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। বেলা দেড়টায় বিচারক এজলাসে উঠেন ও ওকালত নামায় তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর ১টা ৩২ মিনিটে রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
শুনানিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, এ মামলার তিনি এজাহারনামীয় আসামি। তার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতা আসতে পারে সেইজন্য কাজ করেন। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন।
তার শুনানি শেষে ১টা ৩৫ মিনিটে আউয়াল বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কিছু বলতে চাই, যদি অনুমতি দেন।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামি আউয়ালের অধীনে এদেশের ফ্যাসিস্ট হাসিনা, তার দল আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থিত দল ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মগোপন চলে যান। পরে মগবাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছে, নির্বাচনের নামে নির্বাচনের অভিনয় দেখানো হয়েছে। তিনি শপথ করে তা ভঙ্গ করেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে৷ তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী এমিল হাসান রুমেল রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।