হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল
২৩শ, গাঁজা উপতক্যায় মরছে সাধারণ নাগরিক।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে
দখলদার ইসরায়েলের অবরোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তার মধ্যে ২ হাজার ২শ রকেট আঘাত হানে ইসরায়েল ভুখণ্ডে। রকেট হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ।
এসব হামলায় দু’দেশের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩শ জনে। উভয় দেশের আহত হয়েছে উভয় দেশের সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন আরও জানিয়েছে, গত চার দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ২শ জন ও আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭শ জন ও গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ১শ ও আহত হয়েছে ৬ হাজার ৩শ ৩৯ জন।
এ সময় হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি এবং জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েলে প্রবেশ করেন হামাসের আরও কয়েক শ’ যোদ্ধা। গোয়েন্দা তথ্যের তথ্যের ঘাটতি ও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে হামাসের হামলার পর প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল ইসরায়েল। পরে যুদ্ধে ফিরে আসে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)।
এদিকে, বুধবারও হামাস-ইসরায়েলে লড়াইয়ে হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। লেবাননের দুই নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরাইলি ট্যাংকের বিরুদ্ধে গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আভিভিম অঞ্চলে একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে লেবাননের অভ্যন্তর থেকে রকেট হামলার পর ইসরায়েল বাহিনীর হেলিকপ্টার হিজবুল্লাহর একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।