হামাস ও দখলদার ইসরায়েল ইস্যুতে পদত্যাগের চাপে ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রধান
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
হামাস ও দখলদার ইসরায়েল ইস্যুতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলায় নিজ দলেই চাপের মুখে পড়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির প্রধান কেয়ার স্টারমার। দলের নেতারা তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর দখলদার বর্বর ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের যোদ্ধাদের নির্মূলের নামে বোমা বর্ষণ করে নিরিহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার কাজকে সমর্থন করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমা হামলায় এ পর্যন্ত হাজার হাজারের ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু। এ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে মানুষ গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করছে।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্টারমারও সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মানবিক বিরতির কথা বলেছে। তবে লেবার পার্টির অধিকাংশ নেতা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছে।
সর্বশেষ লেবার পার্টি কাউন্সিলের দুই নেতা দাবি করছেন, বিরোধের বিষয়ে অবস্থানের কারণে দলীয় প্রধান কেয়ার স্টারমারের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তাঁর অবস্থান নিয়ে দলে মতবিরোধ বাড়ছে।
বার্নলি কাউন্সিলের নেতা আফ্রাসিয়াব আনোয়ার এবং পেন্ডল বরো কাউন্সিলের নেতা আসজাদ মাহমুদ বলেছেন, তাঁরা তাঁদের এলাকার লেবার কাউন্সিলরদের পক্ষে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, স্কটিশ লেবার নেতা আনাস সারওয়ার এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র অ্যান্ডি বার্নহ্যামসহ দলের অনেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু দলীয় সভাপতি স্টারমার বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি (হামাস) ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যার তিন সপ্তাহ পর একটি যুদ্ধবিরতি পেলে আরও “উৎসাহিত” হবে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানানোয় এবং এই দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণে অন্তত দুইজন নেতাকে বহিষ্কার করেছেন স্টারমার।
স্টারমারের অবস্থানের প্রতিবাদে ৩০ জনেরও বেশি কাউন্সিলর দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এখন দুই নেতা আনোয়ার এবং মাহমুদ তাঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেন।