হারাগাছে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোট:
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রংপুরের হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। শুরুতেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশ লক্ষ্যণীয়। হারাগাছ সরকারি কলেজ, বাংলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, হারাগাছ মডেল কলেজ, শাখারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারদের সরব উপস্থিতি। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন তারা। বেলা পৌনে এগারোটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।
মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও যাচাই-বাছাইয়ে দুজনের মনোনয়ন বাতিল হয়। তবে শেষ সময়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জাহিদ হোসেন (হাতপাখা) আপিলে তার প্রার্র্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র হাকিবুর রহমান, বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দল থেকে সদ্য বহিস্কৃত এরশাদুল হক এরশাদ নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে চারজন ছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৯ হাজার ১৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৬৯৩ এবং নারী ভোটার ২৫ হাজার ৩২৪ জন। ২০টি কেন্দ্রের ১৬১টি বুথে প্রথমবারের মতো এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনেও বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন হাকিবুর রহমান। সেবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১২ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৮৪ ভোট। এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদের ভোটব্যাংকে ভাটা পড়বে।
আর এতে বিএনপির প্রার্থী সুবিধা পাবেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদুল হক হারাগাছ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। সেই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ মাজেদের ছোট ভাই তিনি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবারে প্রধান দুই দলের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ভোটাররা মনে করছেন।