সোহরাব হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা। ফসলি জমি মৎস্য চাষে ব্যবহৃত হওয়ায় হারানোর মুল কারণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল।দৈনিক আস্থার জেলা প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন কে ঘোনাগ্রামের কেরামত সরদার জানান বাঁশ দিয়ে চটা তৈরী করে সেটাকে গোলাকার আকৃতির দিয়ে ধানের গোলা তৈরী করে বাড়ির উঠানে একটি গোলাকার উঁচু ভীত বানিয়ে সেখানে বসানো হতো এটি। আর সেটার ছাউনি হিসাবে খড়, গোল পাতা বা টিন ব্যবহার করা হত।
ছাউনির উপরের দিকে বেশ উঁচু টিনের পিরামিড আকৃতির হতো যা অনেক দূর থেকে দেখা যেত। ইঁদুর জাতীয় প্রাণী এবং বর্ষার পানি থেকে রক্ষা করে ফসল সংরক্ষনের জন্য ধানের গোলা ছিলো ব্যাপক জনপ্রিয় এবং কার্যকর। যে সকল পরিবারের গোলা তৈরী করার সমার্থ থাকত না তাদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে থাকত গোলার মত ছোট আকৃতির আউড়। আউড় বসানো হতো ঘরের মধ্যে। কম খরচে বেশি পরিমানে শষ্য সংরক্ষনের গোলার বিকল্প কিছু নেই। কালের আর্বতনে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্য ধানের গোলা ও আউড় এখন খুবই কম দেখা মেলে।
বর্তমান সময়ে গ্রাম অঞ্চলে যেটুকু শষ্য উৎপাদিত হয় সেগুলো বিক্রি করে চাউল কিনে খাওয়ার প্রবনতাই বেশি দেখা যায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার মানুষের চাল-চিত্র উলট-পালট করে দিয়েছে বলে সর্ব মহলের ধারণা। সে সময় ছেলে-মেয়ে বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রি পক্ষের সম্পদের মাপকাটি হিসাবে বাড়িতে গোলা বা আউড়ের পরিমানের উপর নির্ভর করতো।ধুলিহরের গনেশ মন্ডল জানান, এখন গোলার প্রচলন প্রায় উঠে গেছে বললেও ভুল হবে না। আমার বাড়িতে একটি গোলা আছে কিন্তু দীর্ঘ দিন সেটাকে ব্যবহার করা হয় না। কয়েক বছর পূর্বেও এলাকায় প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে কম বেশি গোলা ছিল। সব কিছু মিলিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষকের এক সময়ের সমৃদ্ধির প্রতীক ছিলো এ গোলা, যেটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
আরো জানুন
সাতক্ষীরায় বিনেরপোতা ব্রীজে ফলের ট্রাক উল্টে লক্ষ্য টাকা ক্ষতি।
দুর্ঘটনা লেগেই আছে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের বিনেরপোতা এলাকায়। একটি দুর্ঘটনার ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটছে আরেকটি দুর্ঘটনা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত্র ৮ টার দিকে সাতক্ষীরা টু খুলনা সড়কের বিনেরপোতার ব্রিজের উপর ফল বোঝাই ট্রাক উল্টে পড়েছে।জানাযায় সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় যাওয়ার পথে বিনেরপোতার বিসিক মোড়ে পৌছালে (যশোর-ট-১১-২২৯০) ফল বোঝাই ট্রাকটি রাস্তার উপরে উল্টে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি…………………..