হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফেইসবুকে ডেটা শেয়ারের একটি ঘোষণার পর অনেকেই বিপ মেসেঞ্জার ডাউনলোড করছেন। তাদের ধারণা, এই অ্যাপটি বেশি নিরাপদ।
কিন্তু আসল ব্যাপার হলো, দুটো অ্যাপের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।
অস্ট্রেলিয়ান জার্নাল অব ফরেনসিক সায়েন্সে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অন্তত এমনটি দাবি করা হয়েছে। বছর দুই আগের ওই সাইবার গবেষণায় বলা হয়, এই অ্যাপ ইউজারের ফোন থেকে ফোন কল করা, নেটওয়ার্ক লোকেশন পড়া, কন্টাক্ট নাম ও ফোন নম্বর পড়া, সার্চ ইতিহাস দেখা ও ডিলিট করা, ক্যামেরা চালানো, জিপিএস লোকেশন পড়া, ব্লুটুথ কানেকশন পড়া, এসএমএস/এমএমএস পড়া ইত্যাদির অনুমতি নিতে পারে। একই সঙ্গে এটি ফোনের নাম, মডেল, রিজিয়ন, ফোনের ইউনিক সিরিয়াল নম্বর, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদিও সংগ্রহ করে থাকে।
বিপের একটি ফিচার হচ্ছে এতে নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ মুছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ফিচার ব্যবহার করে কোনো ইউজার তার অ্যাপে নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজটি আর দেখতে না পারলেও, অ্যাপের ডেটাবেইজে এই মেসেজ থেকেই যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ মূলত আগে থেকেই ফেইসবুকের সঙ্গে ডেটা সংগ্রহ করে। ফেইসবুক কোম্পানি অ্যাপটি কিনে নেয়ার পর থেকেই এটি করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ যে ঠিকঠাক কাজ করছে এটি নিশ্চিত হতেই তারা ডেটা শেয়ার করে। দুটি সাইট একসঙ্গে মার্জ করায় এটি তাদের করতে হচ্ছে। এই ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা ফেইসবুকে বিজ্ঞাপনও দেয়।