হয়রানি করার জন্য পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব-তাকসিম
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য প্রতিবেদন তৈয়ারী করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তাকসিম এ খান বলেন, এমন নয় যে আমি এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছি বরং আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ঢাকা ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। আমি অনেক আগে থেকেই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। স্ত্রী-সন্তান সেখানে অনেক ভালো মানের চাকরি করে। আমি এখানে একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি। ফলে টাকা সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) পাঠানোরও কোনো প্রশ্ন আসে না।
সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট এর আগে প্রকাশ হয়েছে; কিন্তু আমি তো কোনো দুর্নীতি করিনি। তাই সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল জব করে। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝেমধ্যে টাকা পাঠায়।
ঢাকায় কোনো সম্পত্তি, জমি, বাড়ি কেনার কখনই দরকার হয়নি জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছেন। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনো কিছু কেনার কখনও দরকার হয়নি। এ ছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। আমি যা বেতন পাই সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে আমাদের ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনো দরকার হয় না আমার।
ওয়াসার এমডির যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।