পূর্ণিমা হোসাইন, ভৈরব প্রতিনিধি: ভৈরবে ২২ টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২৩০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।মঙ্গলবার ১০ নভেম্বর দুপুর থেকে ১১ নবেম্বর বিকেল পর্যন্ত ভৈরব পৌর শহরের প্রতিটি হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।
গত ১০ ও ১১ নভেম্বর তারিখ দুই দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় ভৈরব উপজেলার প্রতিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গুলোতে।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার ও পাকিস্তানি শাসকদের গণহত্যার নিন্দা বিএনপি এমপির
হাসপাতালে সরকারি লাইসেন্স যথারিতি নবায়ন করা, অপরিষ্কার, ল্যাবে সঠিক ইন্সট্রুমেন্ট না থাকাসহ নানা অসঙ্গতির কারণে শহরের ২২ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩০,০০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা।
মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি ( নিয়ন্ত্রণ ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ১৩(২) ধারা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক ২২ টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভৈরব উপজেলার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ না থাকার কারণে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, ট্রমা জেনারেল হাসপাতালকে, ফরিদা মেডিকেল কেয়ারকে,ভৈরব চক্ষু সেন্টারকে, আল মদিনা হাসপাতাল, সাজেদা আলাল হাসপাতাল, সাঈদ ইউসুফ হাসপাতালকে, মেডিল্যাব হাসপাতালকে, গ্রামীন হাসপাতালকে, পদ্মা হাসপাতাল সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং ডাঃহরিপদ দেবনাথ কোনো সরকারি পারমিশন ছাড়া নিজের বাসভবনের নিচ তলায় দীর্ঘ দিন যাবত রোগী দেখাসহ পরিক্ষা নিরিক্ষা করছে বলে তাকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা সহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন, ভৈরব এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যৌথ উদ্যোগে ভৈরবের বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার নেতৃত্বে পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে প্রশাসন বলেন, জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ এর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই বিষয়ে উপস্থিত থাকা সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের বলে,ভৈরবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভাব নেই। কিন্তু বেশির ভাগ সেন্টারই অস্বাস্থ্যকর। প্রশাসনের এই কাজে আমরা সকলেই খুশি হয়েছি।