DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ২৯শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

২৪ ঘণ্টার আগেই শেষ হচ্ছে দিন, তবে কি কেয়ামতের আলামত!

DoinikAstha
জানুয়ারি ১০, ২০২১ ৪:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পৃথিবীর আবর্তনের গতি গত ৫০ বছর ধরে বাড়ার কারণে গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ ২৪ ঘণ্টারও কম হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানায়, এই ঘটনাটির যথাযথ প্রমাণও পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবীর আবর্তন দ্রুতগতির কারণেই স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ‌কম হচ্ছে বর্তমানে একটি দিনের দৈর্ঘ্য। এদিকে এমন ঘটনাকে কেয়ামতের আলামত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশিষ্ট আলেমরা।

জোর্তি বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২০ সালে সব থেকে ছোট দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কম দিন।  বিজ্ঞানীরা আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেছেন ২০২১ সালে আরও ছোট দিন হতে পারে। সময় ও তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌর দিনের সমান। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। ১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলো পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলি সেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।

লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, রেকর্ডে সবচেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন দেখা যায় ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলোতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনগুলো গড়ের থেকে প্রায় মিলি সেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে। পারমাণবিক ঘড়ির হিসাব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬,৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।

ডেইল মেইলের প্রতিবেদনে জানায়, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোট দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে গত বছরের ১২ মাসে ২৮ বার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে।

আরো পড়ুন :  বেনাপোলে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের ভোগান্তি

এদিকে এমন ঘটনা কেয়ামতের আলামত হিসেবে পৃথিবীর নির্ধারিত মেয়াদ ও অবসানের সময় ঘনিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট আলেমরা। তাদের মতে সত্যের দিশাদাতা নবী করিম (সা.) কেয়ামতের আলামত ও লক্ষণগুলো স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।

এক হাদিসে (তিরমিযী) বলা হয়েছে,  নবী করিম (সা.) কেয়ামতের আলামতের আরেকটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন সময় সঙ্কুচিত হয়ে যাবে। সময় সঙ্কুচিত হওয়ার মানে, বছর মাসের মতো আর মাস সপ্তাহের মতো হয়ে যাবে। আর সপ্তাহ হবে দিনের মতো। দিন হবে ঘণ্টার মতো। ঘণ্টা হবে খেজুর গাছের পাতা পোড়ার মতো ক্ষণিক।

রাসূল (সা.) যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আমরা তার মধ্যে দিয়েই পার হচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আলেমরা। 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০