৪৫ বছরে দলকে ছেড়ে যাইনি, ভবিষ্যতেও যাব না-বিএনপি নেতা আবুল হাসান জহির
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির বলেছেন, “আমি গত ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো দলকে ছেড়ে যাইনি, ভবিষ্যতেও যাব না। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, তবে আমি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে শার্শা ও বেনাপোলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।”
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে শার্শার নাভারণ বিএনপি কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
আবুল হাসান জহির বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। দলের সিদ্ধান্তে আমি প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এরপরও নির্বাচনে দলের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছি। আমি ২০০৮ সাল থেকে শার্শা উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। দুঃসময়ে রাজপথে থেকেছি, হামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি। এত কিছুর পরেও কর্মীদের ফেলে যাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “এই দীর্ঘ সময়ে ৪৬টি নাশকতার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে বহুবার রক্তাক্ত হয়েছি। কিন্তু দলের প্রতি আমার নিষ্ঠা কখনো কমেনি। এখনো আমি মাঠে আছি, থাকবো।”
জাতীয় নির্বাচনে নিজেকে একজন মনোনয়নপ্রত্যাশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দল যদি আমাকে প্রার্থী করে এবং জনগণ আমাকে ভোট দেয়, তবে আমি এলাকার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো।”
মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা মাঠে যান, ইউনিয়নপর্যায়ে গিয়ে জানুন জনগণ কাকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। জনগণের সেই চাহিদা আপনারা সংবাদে তুলে ধরলে দলও বুঝতে পারবে কাকে মানুষ চায়।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহম্মেদ আলী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, প্রফেসর মামুন-আর-রশিদ, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, নাভারণ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান এবং বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুল হক প্রমূখ।