ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, পরীক্ষাও স্থগিত Logo ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ Logo শান্তি সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত Logo আমেরিকান দূতাবাসের সামনে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার Logo বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ মিয়ার শেষ বিদায়ে হাজার মানুষের ঢল Logo ঝালকাঠিতে এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেনের গণসংযোগ Logo ঈশ্বরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মহড়া Logo রাজাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০১:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০৪৪ বার পড়া হয়েছে

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ ভুঁইয়া। তিনি যখন কম বয়সে এমপি ইলেকশন করেন তখন এ খাগড়াছড়িতে অনেক মুরব্বি ছিলেন। সবাই তাঁকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নিলেন। আপনজন ও একজন শিক্ষানবীশ রাজনীতিক হিসেবে তাকে কেউ মেনে নিতে পারেননি।

রাজনীতি করা তারও যে অধিকার সেটা বেমালুম প্রবীনরা ভুলে গেলেন। তাকে নানা সময়ে বাঙালিপন্থী সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। তার জনপ্রিয়তা বিভক্ত করার জন্য আদি বাঙালি নামে নতুন এক সম্প্রদায়েরও আবির্ভাব হয়েছিলো।

জনশ্রুতি আছে যে, সন্তু লারমার সহযোগিতায় এ সম্প্রদায় এসব বিভক্তি রেখা টানতো। প্রতিটি নির্বাচনে তাকে হারানো হতো, আবার তিনি অল্প ভোটে হেরে যেতেন।

তিনি হেরে যেতেন ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে। একদিকে বাঙালিদের মধ্যে হিন্দু, বড়ুয়া, মুসলিম বিভাজন এবং বাঙালিদের বহু প্রার্থীতা ভিতরের পার্টির টাকা। আবার পাহাড়িদের একচেটিয়া ভোট নৌকায়।। এভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও ইকুয়েশন করা হতো। সবার একটাই উদ্দেশ্য, পুড় খাওয়া সাহসী ঐ অদুদ ঠেকাও।

ঠেকাতে ঠেকাতে উনি অতিষ্ঠ। উনিওতো মানুষ। আর কত! তিনিও জবাব দিতে লাগলেন। স্বাভাবিকভাবে ষড়যন্ত্রতারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠলো।
উনিও কম যান না। সবার সাথে ঐক্যের চেষ্টা করে গেছেন। আবার যারা এ পাহাড়, সেনাবাহিনী ও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতেন তাদের সাথে হার্ড লাইনেও গেছেন। কারন, তিনি নিরুপায়।। কেউ তাকে মেনে নিতে পারে না। অনেকের হয়তো ব্যথা, এতবছর পাহাড়ে থেকেও এত জনপ্রিয় হতে না পারা। আর এই ডেগা পোয়া এত জনপ্রিয়! ন অইবো, তারে ঠেকা।

এভাবে জ্বলতে জ্বলতে উনি অঙ্গার। তাই উনিও সহ্য করতে না পেরে মুখেরও লাগাম টেনে ধরতে পারেন না। মুখটাই তার কাল। এত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন চাট্টিখানি কথা না। কিন্তু কিছু মানুষ বার বার তাকেই প্রতিপক্ষ বানাতে চায়। এ জন্য আবার তিনি মুখে কথা বলে ফেলেন। কিছু মানুষ এটাকে তার দূর্বলতা হিসেবে বাজারে ব্যবসা করতে চায়।

আমি মনে করি, তারাও জানে যে, কিভাবে রাজনীতি করতে হয় তা মি. অদুদ জানেন। তারপরও টাকার লোভে ফেইক আইডি খুলে, বা নানামুখী রংঢং কথা বলে ওনাকে রাজনৈতিক মাঠে ফেলে দিতে চায়। মানে ভোটের রাজনীতিতে ফেল করাতে। এখানেই আমার দুটি কথা:

১. উনি হারতে হারতে প্রতিকূল পরিবেশ এমপি হয়ে
উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান হয়েছেন।
২. ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে সেই ছোট্ট বেলার
ঝাঁকড়া চুলের অদুদ জানু খেলোয়াড় হয়েছেন।

সুতরাং, দূর্বলচিত্তের লোকদের ফাঁদে পা দিয়ে নব্য বা পুরান কারও কথা শুনে ওনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে কাজ হবে না। এখন পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের কাছে উনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যারা ওনার প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তারা মনমালিন্য বা রাজনৈতিক রেষারেষির কারনে ষড়যন্ত্র বা সমালোচনা করতে পারেন ওনার।

কিন্তু বিগত ১৬ বছর ধরে ওনার দল ও নেতা কর্মীদের সাথে করা ব্যবহারের জন্য তাঁরাও আসলে নিশ্চয়ই আজ দূরে বা কাছে থেকেও অনুতপ্ত। কিন্তু কিছু নব্য  রাজনীতিক হঠাৎ হাটতে শিখার পরপরই দৌড়ানো শিখার আগেই ল্যাং মারামারি করার জন্য হুদাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। তবে তা সুন্দর দেখায় না।

মি. ওয়াদুদের কথাবার্তা আপনার পছন্দ না হতে পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষ না ভেবে একজন রাজনীতিক হিসেবে কিভাবে তিনি পাহাড়ি বাঙালি নানা ইস্যু মোকাবিলা করে টিকে আছেন সেটা থেকে হলেও একটু শেখার বা কৌশল জানার চেষ্টা করুন। আমি বলছি, ওনারতো অবশ্যই ভালো দিক আছে। অন্ততঃ ভালো দিকওতো আমরা আগামী পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি। শুধু টেনেটুনে দল চালিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গরমাগরম বক্তব্য দিলেই কী ৪৫ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে মি. অদুদ এর? না শেষ হবে না বরং বাড়বে জনপ্রিয়তা।

ট্যাগস :

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ

আপডেট সময় : ০১:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

২৫ বছর বয়স থেকে জ্বলতে জ্বলতে আজকের ওয়াদুদ ভুঁইয়া। তিনি যখন কম বয়সে এমপি ইলেকশন করেন তখন এ খাগড়াছড়িতে অনেক মুরব্বি ছিলেন। সবাই তাঁকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নিলেন। আপনজন ও একজন শিক্ষানবীশ রাজনীতিক হিসেবে তাকে কেউ মেনে নিতে পারেননি।

রাজনীতি করা তারও যে অধিকার সেটা বেমালুম প্রবীনরা ভুলে গেলেন। তাকে নানা সময়ে বাঙালিপন্থী সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। তার জনপ্রিয়তা বিভক্ত করার জন্য আদি বাঙালি নামে নতুন এক সম্প্রদায়েরও আবির্ভাব হয়েছিলো।

জনশ্রুতি আছে যে, সন্তু লারমার সহযোগিতায় এ সম্প্রদায় এসব বিভক্তি রেখা টানতো। প্রতিটি নির্বাচনে তাকে হারানো হতো, আবার তিনি অল্প ভোটে হেরে যেতেন।

তিনি হেরে যেতেন ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে পড়ে। একদিকে বাঙালিদের মধ্যে হিন্দু, বড়ুয়া, মুসলিম বিভাজন এবং বাঙালিদের বহু প্রার্থীতা ভিতরের পার্টির টাকা। আবার পাহাড়িদের একচেটিয়া ভোট নৌকায়।। এভাবে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও ইকুয়েশন করা হতো। সবার একটাই উদ্দেশ্য, পুড় খাওয়া সাহসী ঐ অদুদ ঠেকাও।

ঠেকাতে ঠেকাতে উনি অতিষ্ঠ। উনিওতো মানুষ। আর কত! তিনিও জবাব দিতে লাগলেন। স্বাভাবিকভাবে ষড়যন্ত্রতারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠলো।
উনিও কম যান না। সবার সাথে ঐক্যের চেষ্টা করে গেছেন। আবার যারা এ পাহাড়, সেনাবাহিনী ও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতেন তাদের সাথে হার্ড লাইনেও গেছেন। কারন, তিনি নিরুপায়।। কেউ তাকে মেনে নিতে পারে না। অনেকের হয়তো ব্যথা, এতবছর পাহাড়ে থেকেও এত জনপ্রিয় হতে না পারা। আর এই ডেগা পোয়া এত জনপ্রিয়! ন অইবো, তারে ঠেকা।

এভাবে জ্বলতে জ্বলতে উনি অঙ্গার। তাই উনিও সহ্য করতে না পেরে মুখেরও লাগাম টেনে ধরতে পারেন না। মুখটাই তার কাল। এত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন চাট্টিখানি কথা না। কিন্তু কিছু মানুষ বার বার তাকেই প্রতিপক্ষ বানাতে চায়। এ জন্য আবার তিনি মুখে কথা বলে ফেলেন। কিছু মানুষ এটাকে তার দূর্বলতা হিসেবে বাজারে ব্যবসা করতে চায়।

আমি মনে করি, তারাও জানে যে, কিভাবে রাজনীতি করতে হয় তা মি. অদুদ জানেন। তারপরও টাকার লোভে ফেইক আইডি খুলে, বা নানামুখী রংঢং কথা বলে ওনাকে রাজনৈতিক মাঠে ফেলে দিতে চায়। মানে ভোটের রাজনীতিতে ফেল করাতে। এখানেই আমার দুটি কথা:

১. উনি হারতে হারতে প্রতিকূল পরিবেশ এমপি হয়ে
উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান হয়েছেন।
২. ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে সেই ছোট্ট বেলার
ঝাঁকড়া চুলের অদুদ জানু খেলোয়াড় হয়েছেন।

সুতরাং, দূর্বলচিত্তের লোকদের ফাঁদে পা দিয়ে নব্য বা পুরান কারও কথা শুনে ওনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে কাজ হবে না। এখন পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের কাছে উনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যারা ওনার প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তারা মনমালিন্য বা রাজনৈতিক রেষারেষির কারনে ষড়যন্ত্র বা সমালোচনা করতে পারেন ওনার।

কিন্তু বিগত ১৬ বছর ধরে ওনার দল ও নেতা কর্মীদের সাথে করা ব্যবহারের জন্য তাঁরাও আসলে নিশ্চয়ই আজ দূরে বা কাছে থেকেও অনুতপ্ত। কিন্তু কিছু নব্য  রাজনীতিক হঠাৎ হাটতে শিখার পরপরই দৌড়ানো শিখার আগেই ল্যাং মারামারি করার জন্য হুদাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। তবে তা সুন্দর দেখায় না।

মি. ওয়াদুদের কথাবার্তা আপনার পছন্দ না হতে পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষ না ভেবে একজন রাজনীতিক হিসেবে কিভাবে তিনি পাহাড়ি বাঙালি নানা ইস্যু মোকাবিলা করে টিকে আছেন সেটা থেকে হলেও একটু শেখার বা কৌশল জানার চেষ্টা করুন। আমি বলছি, ওনারতো অবশ্যই ভালো দিক আছে। অন্ততঃ ভালো দিকওতো আমরা আগামী পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি। শুধু টেনেটুনে দল চালিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গরমাগরম বক্তব্য দিলেই কী ৪৫ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে মি. অদুদ এর? না শেষ হবে না বরং বাড়বে জনপ্রিয়তা।