ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo পানছড়িতে অসহায়, গরীব ও দুস্থের মাঝে ৩ বিজিবির মানবিক সহায়তা বিতরণ Logo সীমান্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছে পানছড়ি বিজিবি Logo শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা আজ Logo মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প, কাঁপল টেকনাফ Logo গিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার Logo মোজাম্মেল জাহানারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বাহেরবালী নয়াহাটি মানবিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo পাহাড় থেকেই তৈরি হবে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: সাদিক কায়েম Logo পানছড়ির পশ্চিম মোল্লাপাড়ায় ধানের শীষের লিফলেট বিতরন Logo কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি তারেক রহমানের সমবেদনা

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৩৮ বার পড়া হয়েছে

রংপুরের ঘাঘট নদ থেকে গ্রেনেড উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রংপুরের ঘাঘট নদীর দমদমা ব্রিজের নিচে থেকে গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার হলেও রোববার সকালে (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গ্রেনেড টি সেখানকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়।

 

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, তালুক তামপাট মগলেরবাগ এলাকার ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী তহমিনা বেগম (৮৫) বলেন, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোসল করতে ঘাঘটে গোসল করতে গিয়ে পানিতে নেমে পায়ের নিচে কিছু একটা অনুভব হয়। এরপর হাতে দিয়ে তুলে নিয়ে লোহার বস্তু মনে করে সেটি নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করি। পরে বাজারেরে একটি দোকানে পরিমাপ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার হাতে থাকা বস্তুটি গরম হতে থাকলে আশেপাশের লোকজন বলছিল এটি গ্রেনেড।
তিনি আরও জানান, আমি আনসারের ট্রেনিংয়ের সময়ে এমন গ্রেনেড বোমা দেখেছিলাম, তাই এটিকে পরবর্তীতে পানিতে রেখে দেই। এরপর ৯৯৯এ ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ এসে দেখে সেদিন থেকে পাহারা দিচ্ছে।

 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট ওসি নাজমুল কাদের বলেন, দমদমা ব্রিজের পাশে পানিতে কাজ করার সময় তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ শুক্রবার সকালে ওই গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পেয়ে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বস্তুটি গরম হয়ে গেলে জুমার নামাজের পর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গ্রেনেড সদৃশ ওই বস্তুটি জব্দ করে করে বধ্যভূমির পাশে গামলায় পানিতে রেখে দিয়েছে। সে দিনই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও বলেন, বস্তুটি সেখানে এখন পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। হ্যান্ড গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নাকি আরও আগের সেটি সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসার পরেই বোঝা যাবে।

 

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় নগরীর দমদমা ব্রিজের পাশে পাকবাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পুঁতে রেখেছিল। সেটি এখন সরকারিভাবে একাত্তরের বধ্যভূমি হিসেবে উল্লেখিত।

ট্যাগস :

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রংপুরের ঘাঘট নদ থেকে গ্রেনেড উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রংপুরের ঘাঘট নদীর দমদমা ব্রিজের নিচে থেকে গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর দমদমা ব্রিজের নিচ থেকে গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার হলেও রোববার সকালে (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গ্রেনেড টি সেখানকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়।

 

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, তালুক তামপাট মগলেরবাগ এলাকার ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী তহমিনা বেগম (৮৫) বলেন, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোসল করতে ঘাঘটে গোসল করতে গিয়ে পানিতে নেমে পায়ের নিচে কিছু একটা অনুভব হয়। এরপর হাতে দিয়ে তুলে নিয়ে লোহার বস্তু মনে করে সেটি নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করি। পরে বাজারেরে একটি দোকানে পরিমাপ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার হাতে থাকা বস্তুটি গরম হতে থাকলে আশেপাশের লোকজন বলছিল এটি গ্রেনেড।
তিনি আরও জানান, আমি আনসারের ট্রেনিংয়ের সময়ে এমন গ্রেনেড বোমা দেখেছিলাম, তাই এটিকে পরবর্তীতে পানিতে রেখে দেই। এরপর ৯৯৯এ ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ এসে দেখে সেদিন থেকে পাহারা দিচ্ছে।

 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট ওসি নাজমুল কাদের বলেন, দমদমা ব্রিজের পাশে পানিতে কাজ করার সময় তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ শুক্রবার সকালে ওই গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পেয়ে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বস্তুটি গরম হয়ে গেলে জুমার নামাজের পর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গ্রেনেড সদৃশ ওই বস্তুটি জব্দ করে করে বধ্যভূমির পাশে গামলায় পানিতে রেখে দিয়েছে। সে দিনই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও বলেন, বস্তুটি সেখানে এখন পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। হ্যান্ড গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নাকি আরও আগের সেটি সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসার পরেই বোঝা যাবে।

 

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় নগরীর দমদমা ব্রিজের পাশে পাকবাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পুঁতে রেখেছিল। সেটি এখন সরকারিভাবে একাত্তরের বধ্যভূমি হিসেবে উল্লেখিত।