হিলিতে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি
জয়নাল আবেদীন জয়/হিলি প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদের দাম স্বাভাবিক থাকবে। এদিকে দাম কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে গত ১৫ মার্চ থেকে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ করে দেয়। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১০০ টাকা। ফলে দুই মাস ২০ দিন পর সরবকার চলতি মাসের ৪ তারিখে পুনরায় আমদানির অনুমতি দিলে পরদিন ৫ জুন থেতে আমদানি শুরু হয়।
আমদানির প্রথম দিন সোমবার ৩ টি ভারতীয় ট্রাকে ৯০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ২য় দিনে ৪২ টি ট্রাকে ১১১ মেট্রিকটন, ৩য় দিন ১৩ টি ট্রাকে ৩৬০ মেট্রিকটন ৪র্থ দিনে ১৪ ট্রাকে ৪১২ মেট্রিকটন, ৫ম দিন ৪৯ টি ট্রাকে ১ হাজার ৩শ মেট্রিকটন, ৬ষ্ঠ দিনে ৩৫ টি ট্রাকে ১ হাজার ৫৯ মেট্রিকটন, ৭ম দিনে ৪২ টি ট্রাকে ১ হাজার ২২৬ মেট্রিকটন, ৮ম দিনে ৪২ টি ট্রাকে ১ হাজার ২৬০ মেট্রিকটন, ৯ম দিনে ৪৮ টি ট্রাকে ১ হাজার ৪৪০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
অর্থাৎ ৯ দিনে ৭ হাজার ২৫৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দিনের ব্যবধানে হিলি বাজারে খুচরা পর্যায়ে ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ একদিন আগেও ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া তা এখন ৫ টাকা কমে ৩০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমদানিকারকরা প্রচুর এলসি খুলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বরং দাম আরো কমতে পারে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিধ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারি ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ৮০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।