বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদাকে মগবাজার এলাকা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন তার মা মাসুমা বেগম। এরপর একে একে আরও তিন নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ তুলেছে পরিষদের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলা আছে। এর মধ্যে নাজমুলকে দুপুরে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এছাড়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতা সোহরাব হোসেন ও আসিফ মাহমুদকে সাদা পোশাকে তোলে নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ও ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশ ও ডিবিতে খোঁজ করে পাচ্ছি না। পুলিশ যেহেতু তাদেরকে গ্রেফতারের কথা বলছে না, তাই আমরা ধরে নিয়েছি রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা গুম হয়েছেন তারা। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
রাশেদ খান বলেন, সারাদেশে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সরকার এ কাজ করছে।
এ বিষয়ে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, ধর্ষণ মামলায় তার টিম কাউকে আটক করেনি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।